১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

পাঁচে পাকিস্তান, নয়েই থেকে গেল বাংলাদেশ

- Advertisement -

বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর টানা চারটিতে হেরেছিল পাকিস্তান। তাতেই বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের সুপার ফোরে খেলা নিয়ে তৈরী হয়েছিল শঙ্কা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। সাকিব আল হাসানের দলকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে আসল শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। তালিকার নয় নম্বরে বাংলাদেশ।

টাইগারদের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিকের ফিফটিতে জয়ের ভিত পায় পাকিস্তান। দুজনে মিলে ১২৭ বলে গড়েন ১২৮ রানের জুটি। শফিক খেলেছেন ৬৯ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস। ফখরের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ৮১ রান। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

আরও একটি ম্যাচ, আরও একটি টাইগার ব্যাটারদের হতাশার গল্প। বিশ্বকাপে টানা ৫ ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন কিনা সেই শঙ্কার মধ্যে থাকা সাকিব আল হাসানরা পাকিস্তানের বিপক্ষেও ভালো করতে পারেননি। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ফিফটির দেখা পেয়েছেন রিয়াদ

বরাবরের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষেও শুরুতে হতাশার গল্প লিখেছে টাইগার ব্যাটাররা। ব্যতিক্রম ছিলেন রিয়াদ, অন্য ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন তিনি। পুরো ইনিংসে পাকিস্তানি বোলারদের কোনো সুযোগ দেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। হারিস রউফ-ওয়াসিম জুনিয়রদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।

দলীয় ২৩ রানের মধ্যে তানজি হাসান তামিম ০ (৫), নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ (৩) ও মুশফিকুর রহিম ৫ (৮) এর পর ওপেনিং ব্যাটার লিটনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দিকে নজর দিয়েছেন রিয়াদ। দুজনে মিলে গড়েছেন ৭৯ রানের জুটি। লিটন ৪৫ রান করে ইফতিখারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি। টাইগার ওপেনার ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরলেও রিয়াদ পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা।

উইকেটে আসার পর থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের সামনে ভুগেছেন সাকিব আল হাসান। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা টাইগার অধিনায়ক ইফতিখার আহমেদের তিন বলে তিন বাউনডারি মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। হারিসের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটেই ক্যাচ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫০ থেকে ৭ রান দূরেই থামল সাকিবের ইনিংস, ইফতিখারকে মারা ওই ৩ চার ছাড়া যে ইনিংসে সেভাবে নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না তিনি।

একাদশে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। উসামা মীরের বলে ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে বোল্ড হন তিনি।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img