ফারুক আহমেদ সভাপতি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রথম সভা। স্বাভাবিকভাবেই সভা শেষে বিসিবি সভাপতির দিকে ধেয়ে আসলো অনেকগুলো প্রশ্ন। যেখানে ফারুককে উত্তর দিতে হলো সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সময়ে দুর্নীতি হয়েছে কি না সেই বিষয়ে। নতুন সভাপতি অকপটেই স্বীকার করলেন পাপনের সময়টাতে কিছুটা দুর্নীতি হয়েছে। ফারুক সেই দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “কিছু দুর্নীতি যে হয়েছে, এটা আমরা সবাই জানি। এটা অস্বীকার করতে পারব না।”
সভাপতি হওয়ার পর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন বলেও সভা শেষে জানিয়েছেন ফারুক। কোনো চাপ না থাকার কারণে পূর্বের বোর্ডের চেয়ে এখনকার কাজের ধরণ আলাদা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেরা চারটি অডিট ফার্ম থেকে একটিকে বাছাই করে নিয়ে স্বাধীনভাবে বিসিবির সব আর্থিক কর্মকান্ডের অডিট করা হবে। অডিটে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি করে দিয়েছেন ফারুক।
বিসিবির সব সিদ্ধান্তে প্রধান নির্বাহীর সাক্ষর থাকে এবং আর্থিক বিষয়গুলোর সাথে প্রধান অর্থ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকে। অডিটে তাদের বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিসিবির বর্তমান প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনকে অনেক দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন ফারুক।
“প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। পদের কারণেই তাঁকে অনেক কিছুতে সই করতে হয়। তবে তিনি অনেক অভিজ্ঞ ও যোগ্য”- সুজনের প্রসঙ্গে ফারুক
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তিন সদস্যের একটি মূল্যায়ন কমিটি করেছিল বিসিবি। সেই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও পরে সেটা আর প্রকাশ করা হয়নি। আইনি কোনো বাধা না থাকলে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন ফারুক। সেই সাথে পূর্বের সকল প্রতিবেদন প্রকাশ করার ইচ্ছার কথাও বলেছেন বিসিবির নতুন সভাপতি।