২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

পাল্লেকেল্লেতে পরিসংখ্যানের আলোয় তামিম ইকবালের ইনিংস

- Advertisement -

বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়ের ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বিরাশি রানের ইনিংস, অনেকের মতোই সেটা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা, যতোই সমালোচনা হোক, যতোই বলা হোক ফর্ম নাই, আর হবে না; কিন্তু দিনশেষে তামিম জবাবটা দিয়েছেন মাঠে। পাল্লেকেতে আরেকটা জবাবের দিন, নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হয়েছেন; প্রায় নব্বই স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে পুর্নো কথাটাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’।

দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রায় দেড়শ রানের পার্টনারশিপ, গেলো বারো বছরে ঘরের বাইরে দ্বিতীয় উইকেটে একশোর বেশি রানের পার্টনারশিপ এবারই প্রথম। এর আগেও অবশ্য একই রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন তামিম ইকবাল।

নাজমুল শান্তর উদযাপনের সঙ্গী তামিম ইকবাল।

তামিম ইকবালের বয়স ঠিক বত্রিশ বছর বত্রিশ দিন, বুধবার তামিম ইকবাল আউট হয়েছেন  টেস্ট ইতিহাসের ৮৮৮তম নার্ভাস নাইন্টিতে। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ, পাঁচবার। মুশফিকুর রহিম সর্বাধিক সাতবার আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিতে, সাকিব আল হাসান  ৬ বার। তামিম ইকবাল খেলেন আটাশ নম্বর জার্সি পড়ে, টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার উনত্রিশতম অর্ধশতক।

দুর্দান্ত ইনিংস

তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা হয় নিয়মিত, তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেট বাদ দিলে তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট প্রশংসা পাবার যোগ্য। ওপেনার হিসেবে গেল ৪ বছরে তামিম ইকবালের চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের।

শ্রীলঙ্কায়  তামিম ইকবাল বেশ সফল। সফররত ওপেনারদের মধ্য ২০১৩ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বেশি ফিফটি করেছেন বাহাতি এই ওপেনার, চারটা। তিন ফিফটি নিয়ে তালিকায় আছেন আরেক নাম বাংলাদেশি সৌম্য সরকার।

বুধবারের আগ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিমই ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। পাল্লেকেল্লে টেস্টের প্রথম দিনে তামিম ইকবাল ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিককে। মিস্টার ডিপেন্ডেবল হয়তো আবার তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন তবে এমন মধুর লড়াইয়ে দিনশেষে লাভতো বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই, যেখানে নেতৃত্বটা দেন তামিম ইকবালরাই।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img