৪৮২ রানের টার্গেট চাট্টিখানি কথা নয়, সব রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে জিততে হতো ইংল্যান্ডকে। সেই চাপটাই নিতে পারলো না ইংলিংশরা। মাত্র এক সেশনের বেশি সময় টিকলো চতুর্থ দিন। ১৬৪ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ভারতের জয় ৩১৭ রানের। এক জয়ে অনেক রেকর্ডকে সঙ্গী করেছে কোহলিরা। ঘরের মাঠে টেস্টে ৩’শ রানের ব্যবধানে ভারত এর আগে চারবার জিতেছে। ৩৩৭ রানের রেকর্ডটি ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ। টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানের হিসেবে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। আগের রেকর্ড ছিল ১৯৮৬ সালে লিডসে, ২৭৯ রানের জয়।
দলের সাফল্যের সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবেও সাফল্যে নতুন পালক যুক্ত করেছেন ভিরাট কোহলি। এমএস ধোনীর রেকর্ড ভাগ বসিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক আবার এক দিকে ছাড়িয়েও গেছেন ধোনীকে। ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে ২১টি ম্যাচ জয়, ২৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে। আর ধোনী ২১ ম্যাচ জিতেছিলেন ৩০ ম্যাচ খেলে। রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজও জমিয়ে তুলেছে স্বাগতিকরা। চার ম্যাচ সিরিজ ভারত-ইংল্যান্ড ১-১ সমতায়।
৪২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। অশ্বিন-সিরাজরা আতংক হতে পারেনি, ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। টপাটপ উইকেট তুলেছেন। দিন শুরু করা রুট-লরেন্সের বিদায়ের পর শুধুমাত্র মঈন আলী যা একটু রান করেছেন। মধ্যহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে। তখন স্বাগতিকদের জন্য জয়টা সময়ের ব্যাপার ছিল। বিরতির পর ইনিংস গুটিয়ে যেতে সময় লাগেনি। তবে চেন্নাইয়ের উইকেটে অশ্বিন হতে পারেননি মঈন আলী। ৮ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে তার ৪৩ রানটা শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। প্যাটেলেই শেষ হয় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। এই স্পিনার নেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংসে একবারও দু’শো ছুঁতে পারেনি সফরকারি দল। তাছাড়া তিন উইকেট নেন অশ্বিন, ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ৩২৯ ও ২৮৬
ইংল্যান্ড ১৩৪ ও ১৬৪