প্রথম দিনেই সিলেটের উইকেটে গ্লেন ফিলিপস-এজাজ প্যাটেলরা দারুণ টার্ন আদায় করে নিয়েছিলেন। তাতেই টাইগার সমর্থকরা প্রত্যাশা করেছিলেন তাইজুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজরা কিউই ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন। হয়েছেও তাই, তবে সেই পরীক্ষাই কেইন উইলিয়ামসনরা পাশ মার্ক পেতেই পারেন। যদিও দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল সফরকারীরা।
ইনিংসের শুরুতে এক প্রান্তে শরীফুল ইসলাম অন্যপ্রান্তে মিরাজকে আনেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন উইকেট থেকে দারুণ টার্ন আদায় করে নিয়েছেন মিরাজ। তবে টাইগারদের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল। নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেই টম ল্যাথামকে ফেরান তিনি।
তাইজুলের ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথমবার সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন ল্যাথাম। এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। দুই বল পর লেগ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে আবার সুইপ খেলেন ল্যাথাম। এবার তার ব্যাটের ওপরের দিকে বল চলে যায় শর্ট ফাইন লেগে। সহজ ক্যাচ নেন নাঈম হাসান। ৩ চারে ২১ রান করে ফেরেন কিউই ওপেনার।
এরপর বাংলাদেশকে দিনের দ্বিতীয় উইকেটটি এনে দেন মিরাজ। তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মকভাবে খেলেন ডেভন কনওয়ে। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে যায় সিলি পয়েন্টে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে এতটুকুই। উইকেটে আসার পর থেকে দারুণ খেলছেন উইলিয়ামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন হেনরি নিকোলস। প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে ৩৪* রানের জুটি গড়েছেন তারা। লাঞ্চে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান। উইলিয়ামসন অপরাজিত আছেন ২৬ রানে, নিকোলসের সংগ্রহ ১১ রান।