“যে কয়দিন বাঁচবি-
তোর চোখদুটো যেন ভালো কিছু দেখে
তোর কান দুটো যেন ভালো কিছু শোনে
তোর হাত দুটো যেন ভালো কিছু ধরে
তোর পা দুটো যেন সঠিক গন্তব্যে চলে
আর তোর হৃদয় যেন কখনও দূর্বলের জন্য সবল না হয়” –
ছেলে সাহেল মোর্ত্তজার জন্মদিনে বাবা মাশরাফীর বার্তা। যা নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন ম্যাশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোক বা বাইরে, মাশরাফীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসানোর মতো মানুষের তো অভাব নেই; কিন্তু ছোট্ট সাহেল তো তার জন্মদিনের সেরা শুভেচ্ছাটি পেয়ে গেলেন তার বিখ্যাত বাবার কাছ থেকেই। ছেলের সপ্তম জন্মদিনে খারাপ বা মন্দ কিছু না দেখার, না শোনার কিংবা না করার বার্তা দিয়ে রাখলেন মাশরাফী। অনেক বছর পরে এই পোস্টটাই হয়তো হয়ে থাকবে সাহেলের এগিয়ে যাবার শক্তি, জীবন দর্শনের ভিত্তি, নিজেকে গড়ার প্রেরণা কিংবা অসময়ে ঘুড়ে দাঁড়ানোর অবলম্বন।
ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আর দশজন সাধারণের পথেই হেঁটেছেন “অসাধারণ মাশরাফী”। ছেলের সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করেছেন, যেটা এরই মধ্যে আপনারা দেখেছেন। মিরপুরের বাড়ির বৈঠকখানায় সাহেলের চুল কেটে দিচ্ছেন মাশরাফী – ওই ছবির সাথেই শুরুতে পড়া কবিতা বা ক্যাপশন বা বার্তা; যেটা পাঠকের মনে হয়, হয়তো সেটাই ঠিক। কিন্তু তাতে ফুটে উঠেছে ছেলের প্রতি ম্যাশের অনুভূতি, ভালবাসা। সাহেল এবং তার বোন হোমায়রাকে জীবনের “শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার” হিসেবে উল্লেখ করে মাশরাফী লিখেছেন, তাদের দুজনকে উপহার দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ।
জন্মদিন অর্থ জীবন থেকে একটি বছর ঝড়ে যাওয়াও বটে!! সেটা ভালোই জানেন মাশরাফী। তাই তো সাহেলের দীর্ঘায়ু কামনা করে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়েছেন। সেইসাথে পুত্রকে দিয়েছেন মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পরামর্শ।
৫ই অক্টোবর, মাশরাফীরও জন্মদিন।
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক তিনি যেকোন হিসেবেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেকগুলো চোখ ভিজিয়ে দেওয়া আনন্দ আর গৌরবের মুহুর্ত এসেছে তাঁরই নেতৃত্বে। তবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, খেলার মাঠের বাইরে তাঁর জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় বা আবেগঘন মুহুর্ত কোনটি? মাশরাফী খুব সম্ভবত বলতে শুরু করবেন তাঁর পুত্রের জন্মের সময় নিজের অনুভূতির কথা। মাশরাফির নিজের জবানিতে, যে আনন্দ ‘সবার সামনে প্রকাশ করতে পারছিলেন না’ তিনি!!
মাশরাফী নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, সেটা ক্রিকেটীয় কিংবা ব্যক্তিগত অর্জন দুই বিবেচনাতেই; চলতি বছরের শুরুতেও বিশেষ সাক্ষাৎকারে অলরাউন্ডারে সেটা বলেছেন। ভাগ্যবান না হলে বাপ-বেটার জন্ম একদিনে হয় নাকি!!