২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

ফরম্যাট বদলাচ্ছে, গল্পটা কি বদলাতে পারবে বাংলাদেশ?

- Advertisement -

বাংলাদেশ দল দেশ ছেড়েছিলো নিউজিল্যান্ডে অন্তত একটা জয়ের আশায়। তামিম ইকবালসহ ক্রিকেটাররা সেই আশার বানী শুনিয়েছেন গেল কিছুদিন। তিনটা ম্যাচ, একটা সিরিজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাপ্তি কি? ক্রিকেটারদের কথার সঙ্গে মাঠের পারফর্ম্যান্স মিলাতে গিলে বিস্তর পার্থক্য। তিন ম্যাচের একটাতে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছিল বলা যায়। সেটাও আবার নিজেদের দোষেই হেরেছে। বাকি দুই ম্যাচে একতরফা খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ফলাফল হোয়াইটওয়াশ। এবার আরেকটা সিরিজ, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি। এই ফরম্যাটে আরো ভয়ংকর নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশে সামনে অগ্নি পরীক্ষা বলা যায়। এই ফরম্যাটে অবশ্য পরিসংখ্যানকে বেশি পাত্তা দিলে ভয়টাও বেড়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। তাই অধিনায়ক মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ সিরিজ শুরুর আগে হতাশা নয়, আশাবাদীই থাকতে চান-

“এখানকার কন্ডিশন সবসময়ই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এটা আমরা দেখেছি ওয়ানডে সিরিজে, তারা নিজেদের কন্ডিশন খুব ভালোভাবে ব্যবহার করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি। যদিও আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ভুলের কারণে আমরা ফল নিজেদের পক্ষে নিতে পারি নাই দ্বিতীয় ম্যাচে।”

“টি-টোয়েন্টিতে আমরা যদি কোনোরকম ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারি, ফল আমাদের পক্ষে আনা সম্ভব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের জয়ের ক্ষুধা এখনও তীব্র আছে এবং আমরা মুখিয়ে আছি। আশা করি, আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারব।”

“আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টি এমন একটি সংস্করণ, যেখানে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হোক বা নয়-দশ নম্বর, নিজেদের দিনে যদি পারফর্ম করে, দু-একজন ক্রিকেটার যদি অসাধারণ খেলে, ব্যটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আমরা যদি প্রয়োগ করতে পারি, বাস্তবায়ন যদি ভালোভাবে হয়, আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি, এটা আমাদের বিশ্বাস। টি-টোয়েন্টি এমন একটি সংস্করণ, একটা দিনের খেলা, ওইদিনে যে ভালো খেলবে, তাদের পক্ষেই ভালো করা সম্ভব।”

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img