ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম ওভারেই বল হাতে সাকিব; ব্যাটিংয়ে পৃথ্বী শ্ব। ছোট রানআপে প্রথম বলটাই গতি কমিয়ে ছেড়ে দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে স্টাইক বদল শ্ব’য়ের; ব্যাটিংয়ে শিখর ধাওয়ান। পরের চারটা বলে একটা রানও দিলেন না সাকিব। দুইবার এগিয়ে এসে মারার চেষ্টা করলেও রান নিতে ব্যর্থ ধাওয়ান। প্রথম ওভার শেষে দিল্লীর সংগ্রহটাও তাই মাত্র এক।
![](https://kcs3.eu-west-1.klovercloud.com/allrounderbd-live-ailkxhbi/2021/10/Capture7itfu.jpg)
তৃতীয় ওভারেও বোলিংয়ে এসেছিলেন সাকিব; কিন্তু প্রথম দুই বলেই এক ছয় এবং এক চার শ্ব’য়ের। প্রথম দুই বলেই দশ রান দেয়া সাকিব ওভারটা শেষ করেছেন বারো রানে। সাকিবের বলে সুবিধা করে নিতে না পারলেও সুনীল নারিনকে টানা দুই ছক্কা দিয়ে স্বাগতম জানাতে ভুলেননি ভারতের সাবেক ওপেনার। স্পিনাররা একপ্রান্ত থেকে রান দিতে থাকলেও, ইয়ন মরগানের আস্থা রাখলেন স্পিনারেই। সাকিব, নারিনের পর বোলিংয়ে তাই বরুন চক্রবর্তী; এসে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন পৃথ্বী শ্ব’কে। পরের ওভারে বোলিংয়ে ফার্গুসন; পাওয়ারপ্লের ছয় ওভার শেষে দিল্লীর সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৮।
![](https://kcs3.eu-west-1.klovercloud.com/allrounderbd-live-ailkxhbi/2021/10/Capturefyjtu7i.jpg)
সপ্তম ওভারেই আবার বোলিংয়ে এসেছিলেন সাকিব। নিজের দ্বিতীয় বলেই পেতে পারতেই উইকেটও। ধাওয়ানকে এগিয়ে আসতে দেখে ওয়াইড করলেন সাকিব, কিন্তু বলটা গ্লাভসেই বন্দী করতে পারলেন না দীনেশ কার্তিক। পরবর্তীতে সেই ওভারে ১১ রান দিয়েছেন টাইগার তারকা; ব্যক্তিগত তিন ওভার শেষে উইকেট পাননি একটাও, রান দিয়েছেন ২৪। এরপর সাকিব যখন আবারও ফিরলেন বোলিংয়ে, তখন ইনিংসের ১৩তম ওভার। কোনো বাউন্ডারী ছাড়াই শেষ করা ওভারে সাকিব দিয়েছেন ৪ রান; নিজের ৪ ওভারের কোটায় সাকিব সবমিলে দিয়েছেন ২৮ রান; বিনা উইকেটে।
![](https://kcs3.eu-west-1.klovercloud.com/allrounderbd-live-ailkxhbi/2021/10/CaptureWY4.jpg)
শুরুটা দারুণ করলেও, মাঝখানে গিয়ে ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছিল দিল্লী। ১৭তম ওভারে শিমরন হেইটমায়ারের ক্যাচটা নো বল না হলে ম্যাচের গল্পটা হতে পারতো অন্যরকমও। হেইটমায়ার-আইয়ারের কল্যাণেই পরবর্তীতে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো একটা রান তুলতে পেরেছে দিল্লী। নির্ধারিত ২০ ওভারে রিশভ পান্থের দলের সংগ্রহ ১৩৫ রান। হেইটমায়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১৭ রান, সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন ধাওয়ান; আইয়ার অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২৬ রানে ২টি উইকেট পেয়েছেন বরুন চক্রবর্তী।