দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে হেরে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পাকিস্তান; দ্বিতীয় টেস্টে জিতে বাবর আজমের দল সিরিজে ফিরাতে চান সমতা। ফাওয়াদ আলমের অপরাজিত ১২৪ রানের কল্যাণে ৩০২ রান স্কোরবোর্ডে তুলেই প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় পাকিস্তান। ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ; শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন দুইটি উইকেট।
তৃতীয় দিনে পাকিস্তানের সন্তুষ্টি থাকলেও, হতাশার মধ্যেও কেঁটেছে প্রথম সেশন। স্যাঁতস্যাঁতে মাঠের কারণে ৯০ মিনিট দেরী হয় খেলা শুরু হতে; প্রথম সেশনে গড়ায় মাত্র আটটি বল। বোলারের রান-আপের কাছাকাছি একটি স্যাঁতসেঁতে এলাকা মানে খেলোয়াড়দের ইনজুরির প্রবল সম্ভাবনা। এরপরেও কেমার রোচ মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিপক্ষে মেইডেন দিয়ে শুরু করেন এবং খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ার আগে জেসন হোল্ডার করার সুযোগ পান মাত্র দুটি বল। ক্রেগ ব্রাফেট খেলা স্থগিত হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নিজের অসন্তুষ্টি জানাতে দ্বিধা করেননি।
মধ্যাহ্নভোজের পর প্রথম ঘন্টায় ম্যাচ ভরে উঠে রোমাঞ্চে। জেইডেন সিলসের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ফাহিম আশরাফ; ড্রেসিং রুমে ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৬ রানে। এরপর টানা দুই বলে দুইটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ার কাজটা সাধেন জেসন হোল্ডার; ৩১ রান করা রিজওয়ানকে করেন এলবিডব্লিউ, শুন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে পাঠান নওমান আলিকেও। ২৩১ রানেই ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে এগিয়ে নেয়ার পুরো দায়িত্ব তখন গিয়ে পরে ফাওয়াদের ওপর।
হাসান আলীর সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৩৬, তারপর শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে নবম উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন ফাওয়াদ; লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় পুঁজিটাও গিয়ে দাড়ায় ৩০২ রানে। এরপরেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১২৪ রান করে তখনও একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ফাওয়াদ, তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক; প্রত্যাবর্নের পর চতুর্থ। কি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন!
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন আফ্রিদির তোপের মুখে পড়েন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম তিন ওভারে কোন উইকেট না হারালেও চতুর্থ এবং ষষ্ঠ ওভারে আফ্রিদির শিকারে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাফেট এবং কিরণ পাওয়েল। ব্রাফেটকে বোল্ড করে দেয়া আফ্রিদি পরের ওভারেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন পাওয়েলকে। স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেট হিসেবে ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন রস্টন চেসও। দিনশেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯, পিছিয়ে ২৬৩ রানে।
কিংস্টনে টসে হেরে ব্যাটিং নামে সফরকারীরা; বাবর-ফাওয়াদের ব্যাটে ভর করে প্রথম দিন শেষে রান তোলে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২। দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। প্রথম ইনিংসে বাবর আজম করেছেন ৭৫ রান; স্বাগতিকদের পক্ষে তিনটি উইকেট জেইডেন সিলসের।