বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের শুরুটা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দারুণভাবে করেছিল সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু, দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেয়েছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে লিটন কুমার দাশ-মুশফিকুর রহিমরা।
জস বাটলারের দলের দেওয়া ৩৬৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু, পাওয়ারপ্লের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে যায়। রিস টপলির বলের যেন কোনো জবাব ছিলো না টাইগার ব্যাটারদের কাছে।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান করতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। এদিনও তরুণ ওপেনারের উপর ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু, আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় স্লিপে জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২ বলে করেছেন ১ রান।

সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি কিছুই করতে। নিজের খেলা প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাশ। কিন্তু, টাইগার অধিনায়কও পারেননি তেমন কিছু করতে। ৯ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম তিন উইকেটই নিয়েছেন রিস টপলি।
মুশফিকুর রহিমের সাথে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন লিটন। টাইগার ওপেনারকে ফিরিয়ে ৭২ রানের জুটি ভেঙেছেন ওকস। এরপর ৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫১ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। তাওহীদ হৃদয় খেলেছেন ৬১ বলে ৩৯ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দাওয়িড মালানের সেঞ্চুরিতে ৩৬৪ রান সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের শুরুতে ইনসুইং-আউটসুইং, বাউন্সার-কাটারে বেশ কয়েকবার দুই ইংলিশ ওপেনার মালান-জনি বেয়ারস্টোকে ভুগিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম-মুস্তাফিজুর রহমানরা।
উইকেটে সেট হয়ে নিজেদের সহজাত খেলাটা শুরু করতে দুই ইংলিশ ওপেনারও দেরী করেননি। দুজনে মিলে গড়েন ১০৭ বলে ১১৫ রানের জুটি। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ইংলিশ ওপেনার করেন ৫৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫২ রান।

বেয়ারস্টো ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মালান। দেড়শোর দিকে ছুটতে থাকা ইংলিশ ওপেনারকে ফিরিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৭ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১৪০ রান। এদিন ১৩০.৮৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন মালান।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন জো রুটও। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করলেন তিনি। সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন রুট। তবে শরীফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে করেন ৬৮ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৮২ রান।