বাংলাদেশি ক্রিকেটার খেলছেন সুইডেন জাতীয় দলের হয়ে, ১৪ আগষ্ট এমন তথ্যই দিয়েছিল অলরাউন্ডার। পরেরদিন সেই ক্রিকেটার হুমায়ুন কবির জ্যোতির এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ প্রকাশ করে অলরাউন্ডার। সেদিন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছেন জ্যোতি। কেননা ডেনমার্কের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে জ্যোতির দল সুইডেন। অভিষেক সিরিজেই হারের মুখ দেখলেন তিনি।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এটাই সুইডিশদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সুইডেন জাতীয় দলের কোচের পদে ছিলেন বিখ্যাত সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার জন্টি রোডস। এটাই তার সুইডিশদের হয়ে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। যদিও প্রথম কাজেই সফলতা পাননি।
প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে মাত্র ৮ রানের পরাজয় বরণ করে সুইডেন। প্রথমে ব্যাট করে স্বগতিক ডেনমার্ক তোলে ১১১ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে শেষ হয় সুইডিশদের ইনিংস। ১৩ বলে ১ চারে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিষিক্ত হুমায়ুন কবির জ্যোতি, তবে দলকে জেতাতে পারেননি। হারলেও মাত্র ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সুইডেনের হাসান মেহমুদ।
দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৩ উইকেটের জয় পায় সুইডেন। ফলে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরে জ্যোতির দল। প্রথমে ব্যাট করে ডেনিশদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৫ রান। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে সুইডেন। এই ম্যাচে ৬ বলে ২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জ্যোতি। এই ম্যাচেও ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে হারা দলে, হেরেও ম্যাচসেরা ৬৬ রান করা ডেনমার্কের হামিদ শাহ।
প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে থাকার পর তৃতীয় ম্যাচে দলে জায়গা পাননি জ্যোতি। তার দলও হেরেছে। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ডেনমার্কের জয় ৬ উইকেটে। প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১২২ রান করে সুইডেন। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে স্বাগতিকরা।
হারলেও এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে সুইডেন। এই সপ্তাহে তারা ফিনল্যান্ডে যাত্রা করবে, সেখানে তারা ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।