১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

বাংলাদেশের জয়ের উৎসবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরে অশান্তি

- Advertisement -

বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের উৎসবের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। প্রতিপক্ষের আনন্দের মুহুর্ত প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর প্রশংসিত হয় সিএ। তবে সেই অজি ড্রেসিংরুমেই কিনা উল্টো চিত্র। কেন সেই ভিডিও পোস্ট করা হলো সেটা নিয়ে সিএ’র ওয়েবসাইটের দুই কর্মীর উপর বেজায় চটেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং ম্যানেজার গ্যাভিন ডোভি!

পিট সিগারের ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গানকে হেমাঙ্গ বিশ্বাস অনুবাদ করেছিলেন, শিরোনামটা- ‘আমরা করব জয়’। ভুপেন হাজারিকার কন্ঠের সেই গান এরপর উচ্চারিত হয় সবার মুখেমুখে, বিজয় সঙ্গীত হিসেবে। সেই গান ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুম পর্যন্ত। টাইগারদের ড্রেসিংরুমে এই গান বিজয়ের গান, প্রতি ম্যাচ জয়ের পরই সাকিব-রিয়াদ-আফিফরা গলা ছেড়ে এই গানটাই গান। এবার সেই গান নিয়েই নাকি বাধল বিপত্তি! তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার টিম হোটেলে।

অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। রানের ব্যবধানে যেটা এই সিরিজের সর্ববৃহৎ জয়। অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা আরো বাড়িয়েছে, মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে গিয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে অজিরা। তবে ঘটনাটা সে ম্যাচের পর ঘটেনি, তৃতীয় ম্যাচেই জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে জয়ের পর জয়োৎসবের ভিডিও সয়লাব হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বাদ যায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। তবে সেটা নিয়েই বেঁধেছে সব ঝামেলা।

কোচ ল্যাঙ্গার এবং ম্যানেজার ডোভি

অনেক শর্তের বোঝাই নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে দুদলের সব কর্মকান্ডের খবর এবং ভিডিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট এবং অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে পোস্ট করার দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন দুজন কর্মী। তারাই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ সিরিজে অজিদের একমাত্র মিডিয়া কর্মী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া কর্মীদের একজন সদস্যের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক দৈনিক সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের উদযাপনের ভিডিও প্রকাশিত হলে ম্যানেজার ডোভি সেটি নিয়ে আপত্তি জানান, তার সঙ্গে যোগ দেন কোচ ল্যাঙ্গার। সেখান থেকেই ঝামেলার শুরু।

মর্নিং হেরাল্ডকে সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন মানুষের সামনে ঘটেছে। প্রথমে টিম হোটেলে ডোভি একজন কর্মীকে এই কাজের জবাবদিহিতা চান, জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের উদযাপনের ভিডিও বেমানান। এরপর সেখানে এসে ডোভির সঙ্গে একমত পোষন করেন ল্যাঙ্গার। তবে দুই কর্মীই নিজেদের যুক্তিতে অটল ছিলেন। ল্যাঙ্গার আর ডোভিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ব্যাপারটা। একপর্যায়ে আলোচনা রীতিমতো ঝগড়ায় পরিণত হয়। এ ব্যাপারে বুধবার মুখ খুলেছেন ডোভি।

“একটা দলের ড্রেসিংরুমে মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রয়োজন খোলামেলা আলোচনা, এমনকি এটা হতে পারে খেলোয়াড়,কর্মী কিংবা যে কারো সঙ্গে। এখানে এমন খোলামেলা আলোচনাই হয়েছে”-সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে ডোভি

টিম ম্যানেজার কথা বললেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে এই বিষয়ে ল্যাঙ্গার কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img