বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়। এরপর টানা চার ম্যাচে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। যার সবশেষটি সাউথ আফ্রিকার সাথে। সেটাও আবার যেমন তেমন হার না, ১৪৯ রানে বিশাল ব্যবধানে হার। সেই হারের ব্যবধান বাংলাদেশ কমিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির কল্যাণে। সেই রিয়াদ যে বিশ্বকাপের দলে থাকবেন কিনা টুর্নামেন্ট শুরুর পনেরো দিন আগেও জানতেন না।
সাউথ আফ্রিকার দেওয়া ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল, বাংলাদেশ করেছে তার উল্টো। দলীয় ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একশোর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। তবে বরাবরের মতোই ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ডানহাতি এই ব্যাটারের কাঁধে ভর করে সেই লজ্জা এড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে টাইগার ইনিংসের সর্বোচ্চ ১১১ রান। তাতেই হারের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলাদের উপর একপ্রকার তান্ডব চালিয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। বিশেষ করে এদিন যেন, কুইন্টডন ডি কক-হেনরিখ ক্লাসেন রুদ্রমুর্তি ধারণ করেছিলেন। মুস্তাফিজুর রহমান-হাসান মাহমুদদের তুলোধুনা করে স্কোরবোর্ডে প্রোটিয়া ব্যাটাররা তুলে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ।
১৪০ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। যা এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এদিন যেন শুধু ছক্কা মারার প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নেমেছিলেন ক্লাসেন। ৪৯ বলে ৯০ রান করার পথে মেরেছেন ৮টি ছক্কা। যেখানে বাউন্ডারি মেরেছেন শুধু ২টি। শেষে এসে ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও খেলেছেন ডেভিড মিলার।