২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

বাংলাদেশ ফুটবলে প্রথম ট্রান্সফার ফি

- Advertisement -

সাতশো মিলিয়ন রিলিজ ক্লজ, তাই মেসিকে কিনতে গেলে টাকার অঙ্কে ম্যানচেস্টার সিটিকে গুনতে হতো প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা…এই সংখ্যাগুলোর হেরফের হতে পারে, কিন্তু ঘটনা আপনার সবাই জানেন। আর ইউরোপিয়ান ফুটবলে রিলিজ ক্লজ, ট্রান্সফার ফি শব্দগুলো এতোই পরিচিত যে, এগুলো নিয়ে আলোচনাই অর্থহীন। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিতে এমন কোন কিছুর অস্তিত্ব ১০ ডিসেম্বরের আগে কখনোই ছিলো না। দেশের ঘরোয়া ফুটবলে প্রথমবার ঘটলো রিলিজ ক্লজ মিটিয়ে খেলোয়াড় কেনার ঘটনা। দেড় লাখ টাকা ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থেকে জাফর ইকবালকে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুই ক্লাবের সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় ফুটবলারদের দলবদলের সুযোগ এবারের মৌসুমে আর নেই। করোনায় মৌসুম বাতিল ঘোষণা হওয়ায়, যে ফুটবলার আগে যে ক্লাবে ছিলেন; তাকে সেখানেই খেলতে হবে। তবে সমঝোতার ভিত্তিতে ক্লাব বদলের সুযোগ রাখা হয়েছিলো। সে সুযোগে সাইফ স্পোর্টিং থেকে উইঙ্গার জাফরকে দলে টেনেছে মোহামেডান স্পোর্টিং। ১০ ডিসেম্বর থেকেই অফিশিয়ালি, জাফর মোহামেডানের ফুটবলার, যাকে নেয়া হয়েছে সাইফের রিলিজ ক্লজ মিটিয়ে।

ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের অতি পরিচিত নিয়ম “রিলিজ ক্লজ” দেশের ফুটবলে চালু করেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ২০১৯ সালে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতের সঙ্গে ৩ বছর মেয়াদী চুক্তি করেছে সাইফ স্পোর্টিং, যেখানে রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা (অসমর্থিত সুত্র)।

সাইফের অনুমতি ছাড়া ইয়াসিনকে কোন ক্লাব নিতে চাইলে, মেটাতে হবে ওই দেড় কোটি টাকার রিলিজ ক্লজ। জানা গেছে, আরো বেশ কয়েকজন তরুণ ও প্রতিভাবান ফুটবলারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চু্ক্তি করেছে সাইফ স্পোর্টিং, সেই চুক্তিগুলোতেও রাখা হয়েছে বিভিন্ন অঙ্কের “রিলিজ ক্লজ”।

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থেকে “দেড় লাখ টাকা রিলিজ ক্লজ” মিটিয়ে জাফর ইকবালকে দলে টানার মধ্য দিয়ে হয়তো দেশের ফুটবল শুরু হলো নতুন এক অধ্যায়ের, দেশের পেশাদার ফুটবলের মোড়কে যুক্ত হলো আরো একটু পেশাদারিত্ব।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img