সাত জুলাই থেকে বাংলাদেশের সাথে শুরু হওয়া টেস্টে জিম্বাবুয়ে দলে ফেরানো হয়েছে ক্রেইগ আরভিনকে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম আর অভিজ্ঞতাই আরভিনকে দলে ফেরানোর কারণ বলে ধারনা করা যায়, সম্প্রতি শেষ হও্যা লোগান কাপে ২৪৬ রান করে আরভিন রয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিস্টের সেরা দশে। পরিসংখ্যানও বলছে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলতে পারেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ক্রেইগ আরভিন অভিষেকের পর শেষ দশ বছরে আঠেরো আন্তর্জাতিক টেস্ট সহ খেলেছেন মোট আটাত্তর ফার্স্টক্লাস ম্যাচ। আরভিনের টেস্ট গড় প্রায় ৩৬ এবং তিনটা সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে। ফার্স্টক্লাস রেকর্ডটাও বেশ ভালো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের,সেখানে গড় চল্লিশ, আর সেঞ্চুরি করেছেন এগারোটা। ২০০৪ থেকে ফার্স্টক্লাস খেলা আরভিনের ক্রিকেটিও অভিজ্ঞতাও বাড়তি পাওয়া।
২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে চারটা টেস্ট ম্যাচ খেললেও এখনো সাদা পোশাকে মাঠে নামা হয়নি আরভিনের। সাদা পোশাকে দুই হাজার বিশ সাল বেশ ভালো কাটিয়েছিলেন আরভিন। শ্রীলংকার সাথে ঘরের মাঠে দুটি আর বাংলাদেশের মাঠে এক টেস্টে রান তুলেছিলেন প্রায় ৪৬ গড়ে। প্রায় দেড় বছর পর সাদা পোশাকের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরা আরভিন চাইবেন ব্যাট হাতে ভালো সময়টা বয়ে নিয়ে আসতে।
বাংলাদেশের সাথে আরভিনের রেকর্ড তার সামগ্রিক ক্যারিয়ার রেকর্ডের চেয়ে কিছুটা ম্লান হলেও খারাপ নয় কোনোমতেই। ক্যারিয়ারে তিন সেঞ্চুরির একটা করেছেন বাংলাদেশের সাথে। এক বছর আগে ঢাকার মাঠে সেই টেস্টই ছিল আরভিনের সর্বশেষ, তাই সাত তারিখে শুরু হওয়া টেস্টে যে ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর থাকবেন ক্রেইগ আরভিন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দশ বছর আগে বাংলাদেশের সাথে হারারাতেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ক্রেইগ আরভিনের, সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর বলে আউট হলেও সেকেন্ড ইনিংসে ছিলেন অপরাজিত, বাংলাদেশ সেই টেস্টটা হেরেছিল একশো ত্রিশ রানে। দশ বছর পর আরও অভিজ্ঞ আর পরিণত আরভিনের বাধা পেরোতে দলের জুনিয়র সিনয়র সমন্বয়ে মাঠে লড়াই করতে হবে তাতে দ্বিমত থাকার কথা নয় কারও।