২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

বাইরের কে কি বললো তাতে কান দেওয়া আমার কাজ নয়: ডমিঙ্গো

- Advertisement -

এমনিতে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনে এলে মনে হয় পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট বলতে আসলে নেই। দল ভালো করুক বা খারাপ, একগাল হাসি ধরে রেখে যেভাবে সব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দেন এই সাউথ আফ্রিকান কোচ যেন কোনকিছুই কোন সমস্যা নয়!

সুপার টুয়েলভে ওঠার পর স্বভাবতই ডমিঙ্গোর মন ফুরফুরেই থাকবে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শারজাহ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হওয়ার আগে কোচের সাথে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনটাও হলো খুবই প্রাণবন্ত। এমনকি সংবাদমাধ্যমের বারংবার প্রশ্নেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে সাম্প্রতিক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের যে কথার লড়াইটা চলছে, বা রিয়াদ যে আগের সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য ‘নাম উহ্য রেখে’ অনেকের প্রতিই আঙ্গুল তুলে গেলেন, তা কোন কিছু নিয়েই বের করা গেলো না কোন কথা।

“বাইরে কে কি বললো তাতে কান দেওয়া আমার কাজ নয়। আমার লক্ষ্য শুধু দলকে পরবর্তী ম্যাচের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত করা”

“আপনি যখন বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন তখন আসলে এসব বাইরে থেকে বিভিন্ন কথাবার্তা আসবে। এগুলোতে খেলোয়াড়রা যত বেশি মনোযোগ দেবে তত আসল জায়গা থেকে তাদের মনোযোগ সরে যাবে। এজন্য নিজেদের পারফরম্যান্সে মন দেওয়াই শ্রেয়।”- আরো বলেছেন কোচ।

কোচ আরো বলেছেন সুপার টুয়েলভে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে দেখতে চান আরো উন্নতির ছাপ।

“উন্নতির জায়গা সবসময়ই থাকে। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং গত তিন ম্যাচে শতভাগ সন্তোষজনক ছিলনা। এই জায়গায় উন্নতি করতে চাই। এছাড়া বোলিং ফিল্ডিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। এখানে কন্ডিশন পরখ করারও একটা ব্যাপার থেকে যায়। ওমান থেকে এখানকার উইকেট বা মাঠ আলাদাই হবে।”

প্রথম পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হোক বা রানার্স আপ, বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে অবধারিতভাবে গ্রুপ ২ তেই পড়বে, এমন অদ্ভুতুড়ে নিয়ম প্রথম রাউন্ড চলাকালীনই হুট করে পাল্টে গ্রুপে পজিশন অনুযায়ী সুপার টুয়েলভের স্থান নির্ধারণ করার নিয়ম করেছিল আইসিসি। এই গ্রুপে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিপক্ষ উপমহাদেশের বাইরের। এবং প্রতিটি ম্যাচই ওখানকার সময় দুপুরে।

গ্রুপ ‘তুলনামূলক সহজ’ পড়েছে এই কথার সাথে একমত না হলেও, এটা বললেন কোচ যে, সময়সূচীটা বড় সুবিধা করেছে বাংলাদেশের জন্য।

“এই গ্রুপের সময়সূচীটা আমাদের বিরাট সুবিধা দেবে। বাকি সব দল চিন্তা করছে শিশির নিয়ে, আমাদের সেই চিন্তা করতে হচ্ছে না। কন্ডিশনের জন্য আমাদের স্পিনাররা সুবিধা পাবে। তবে বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে প্রতিটা দলই শক্ত। এই গ্রুপে পড়লে ভালো করতাম ওই গ্রুপে পড়লে খারাপ এমন কোন কথা আসলে নেই।”  

শারজাহর উইকেটে আইপিএল থেকেই দেখা যাচ্ছে রানখরা। ডমিঙ্গো মনে করেন এই উইকেটে স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররাও সুবিধা পাবে, ছোট মাঠের জন্য সুবিধা হবে ব্যাটসম্যানদেরও।

“শারজাহর নতুন উইকেটে রান কম হয়। তবে ‘হিট দ্যা ডেক’ বোলাররা ভালো করতে পারে। আমি সর্বশেষ শারজাহতে এসেছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কোচ হিসেবে। সেই সফরে মরনে মরকেল ভালোই করেছিল। স্পিনারদের বলও নিচু হবে, এলবিডাব্লিউ এর সুযোগ বাড়বে। আমরা খুব ভালো পাওয়ার হিটিং সাইড না তাই ছোট বাউন্ডারি সুবিধা হতে পারে আমাদের জন্য।” 

এই উইকেট ও কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কার বোলিং- বিশেষ করে তাদের দুই স্পিনার মহেশ থিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা রয়েছেন দারুণ ফর্মে। যদিও থিকশানা এই ম্যাচে খেলবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই প্রসঙ্গে কোচ বলেছেন,

“হাসারাঙ্গাকেও আমরা এর আগে অনেকবারই খেলেছি। তার বিপক্ষে ভালোও করেছি। আমরা জানি সে কি করতে পারে। আর ওরা থিকশানাকে খেলাবে না আকিলা দনাঞ্জয়াকে খেলাবে তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা আমাদের দিকেই ফোকাস রাখতে চাই।”

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে সেটা যে অতীত, তা ভালোই জানেন টাইগার কোচ।

“আমি এখনো উইকেট দেখিনি। উইকেট দেখে টিম মিটিং করে এরপর ম্যাচের আগেই একাদশ ঠিক করবো। তবে প্রথম রাউন্ডে কে কি করেছে আমার মনে হয়না সুপার টুয়েলভে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে সেটা। আমাদের আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে।”

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img