২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

বার্সেলোনার মুখের খাবার কেড়ে নিলেন ইয়াগো আসপাস!

- Advertisement -

৩৪ মিনিটে ৩-০ স্কোরলাইন দেখে হয়তো অনেক বার্সেলোনা ফ্যান অনেকদিন পর আয়েশ করে টিভির সামনে বসেছিলেন, বার্সার বড় জয় দেখার আশায়। অনেকে হয়তো আবার ‘জিতেই তো গেছে!’ ভেবে খেলা দেখা বাদ দিয়ে নিজের কাজে মনযোগ দিয়েছিলেন। খেলা শেষ হওয়ার পর ফাইনাল স্কোরলাইন দেখে দুই শ্রেণীর অনুভূতির তীব্রতা একই হবে না আলাদা তা বলা মুশকিল, তবে অনুভূতিটা যে দুঃখ বা হতাশামাখা বিস্ময়ই হবে তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।

সেল্টা ভিগোর সাথে প্রথমার্ধে তিন গোলে এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ৯৫ মিনিট পর্যন্ত ৩-২ এ এগিয়ে থেকে এরপর ৩-৩ গোলে ড্র করতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। “কি থেকে কি হয়ে গেলো?” ফ্যান তো বটেই হয়তো বার্সেলোনার খেলোয়াড়রাও এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। শেষ গোলটা হওয়ার পর তাদের মাথায় হাত দিয়ে মাঠেই বসে পড়া দেখে তো সেটি পরিষ্কার।

সেল্টার সাথে বার্সেলোনার ম্যাচ হবে আর ইয়াগো আসপাস ভালো খেলবেন না তা কি হয়? বরাবরের মতো এবারও বার্সেলোনার মূল হন্তারক এই সেল্টা স্ট্রাইকার। করেছেন জোড়া গোল। আরেকটি গোল নোলিতোর।

এর আগে সেল্টার মাঠ বালাইদোসে প্রথমার্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো বার্সেলোনার। বহুদিন পর যেন মনে হচ্ছিলো আগের সেই ছন্দময় ভয়ঙ্কর বার্সাকে দেখা যাচ্ছে। ৫ মিনিটে জর্ডি আলবার অ্যাসিস্টে আনসু ফাতি খোলেন গোলমুখ, ১৮ মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডার নিকোলাস গঞ্জালেসের অ্যাসিস্টে গোল করেন সার্জিও বুসকেটস, ৩৪ মিনিটে আবারো জর্ডি আলবার অ্যাসিস্টে গোল করেন মেমফিস ডিপেই।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে  আসপাসের গোলের পরই যেন মানসিকতাই পাল্টে যায় সেল্টার। ৭৪ মিনিটে নোলিতো ব্যবধান আরো কমান। এই দুজনেরই আরো একটি করে গোল বাতিল হয়- আসপাসের প্রথমার্ধে অফসাইডের খাঁড়ায় পড়ে নোলিতোর দ্বিতীয়ার্ধে হ্যান্ডবল হওয়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে আসপাসের দুর্দান্ত একটি শটে ৩-৩ গোলে সমতা আসে ম্যাচে। উল্লাসে ফেটে পড়েন সেল্টার খেলোয়াড়গণ ও বালাইদোসের দর্শকসারি। এই ড্র তো শুধু ড্র নয়,বলতে গেলে জয়েরই সমান।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img