বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। চলমান বিপিএলে এনামুল হক বিজয়ের দলের টানা দ্বিতীয় জয় এটি।
১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয়। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে তোলেন ৮৭ রান। যা বিপিএলের ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। মাত্র ২১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ফিফটি করেন লুইস। ফিফটি করার পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
লুইস ফিরে গেলেও ধের্য্যচ্যুতি ঘটেনি বিজয়ের। করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাদের সামনে বরিশালের বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৩৬ ছক্কায় ৬৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিজয়।
বরিশালের হয়ে ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ইমরান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। খুলনার স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে বেশ ভুগেছেন ইবরাহিম জাদরান। ওশানে থমাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৬ বলে করেছেন মাত্র ১১ রান।
তিনে এসে শুরুটা দারুণ করেছিলেন সৌম্য সরকার। আপার কাটে দারুণ এক ছক্কা মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি। এরপর মেরেছেন আরও দুটি বাউন্ডারি। তবে তামিম ইকবালের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন সৌম্য। তার আগে ১০ বলে করেছেন ১৭ রান।
বরিশাল অধিনায়ক তামিম এদিনও খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস। ৩৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ৪০ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। উইকেটে আসার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩২ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি।
বরিশালের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী। শুরুতে কয়েকটি বল দেখলেও সময় যত গড়িয়েছে খুলনার বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন তিনি।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন ওশানে থমাস। নাসুম আহমেদ এক উইকেট নিতে চার ওভারে খরচ করেছেন ৪১ রান।