বাংলাদেশের মুদ্রায় এবার সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ছিল প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, পিএসএলের প্রায় ৪ কোটি, বিগ ব্যাশের প্রায় ৪ কোটি… সেখানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যাকে একটা সময় ‘মানে ও প্রতিযোগিতায় আইপিএলের পরেই অবস্থান’ বলে ব্যাপক আলাপ দেওয়া হত, সেই বিপিএলের এবারের প্রাইজমানি মাত্র ১ কোটি টাকা। যা আগের আসরের চেয়েও (২ কোটি) কম।
উইকেট, সম্প্রচার বা প্রতিযোগিতার মান নিয়ে তো প্রশ্ন অনেকদিনেরই, তবে বিপিএলের প্রাইজমানিও এভাবে কমে যাওয়ার কি ব্যাখ্যা? অন্যান্য দেশের লিগের সাথে তুলনায় না গেলেও নিজেদের স্ট্যান্ডার্ডেই তো নিচে নেমে যাচ্ছে বিপিএল।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে ছিলো বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের ‘প্রি-মিটিং’। মূলত শুক্রবার যে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠনের মিটিং হবে তার প্রস্তুতির জন্যই এই মিটিং হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সামনে এলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। মিটিং সংক্রান্ত প্রশ্নের বাইরেও তাকে বিপিএল প্রাইজমানি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ছোট পরিসরে আয়োজিত হচ্ছে বলেই এবার প্রাইজমানি কম।
“এবারের বিপিএলটা একটা ‘ওয়ান অফ’ ইভেন্ট। তো ওভাবেই প্ল্যান করা হয়েছে। ইতিপূর্বে বিপিএল নিয়ে যে লংটার্ম প্ল্যান আমাদের ছিলো সেগুলো নিয়ে এবার কাজ করা হয়নি, আশাকরি এই বিপিএলের পর আগামী বিপিএল থেকে সেসব নিয়ে কাজ করা হবে, তখন এই বিষয়গুলিও (প্রাইজমানি) সামনে আসবে।”
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সুজন।
বিপিএলের দলগুলির কোন স্থায়ী ‘খেলোয়াড় ধরে রাখা’র নিয়মকানুন নাই, প্রতিবার দল গঠন হয় আর একেক খেলোয়াড় একেক দলে খেলেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও প্রতিবছর নতুন নতুন দলের ‘আইকন’ হন। নতুন খেলোয়াড় তুলে আনার কোন ‘স্কাউটিং’ প্রক্রিয়াও নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। এসবের জন্য যে ‘দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা’ দরকার তার কথা প্রতি বিপিএলের আগেই বলে বিসিবি কর্মকর্তারা, তবে তা ‘এই বিপিএল শেষ হোক, পরের বিপিএল থেকে…’ পর্যন্তই আটকে যায়।