বর্তমানে দেশের ক্রিকেটে চলছে এক প্রকার অস্থিতিশীল অবস্থা। এক তো তামিম ইকবাল নেই বিশ্বকাপ, এর মধ্যে সামাজিকমাধ্যমগুলোতে জোড় গুঞ্জন, সাকিব আল হাসানের চাওয়াতেই নাকি এই টুর্নামেন্টের দলে নেই তামিম। তবে এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। “টি স্পোর্টসকে” দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথাই জানিয়েছেন।
সাকিব বলেন, “এটা নিয়ে (তামিমকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে না খেলানোর) আমার কোনো আলোচনাই হয়নি। এমন প্রশ্ন কোথা থেকে এসেছে আমি জানি না। যদি এমন কেউ বলে থাকে আমি নিশ্চিত এমন কেউই বলেছে যে এই দায়িত্বে আছে এটা আগে থেকেই আলাপ করে রাখছিল যেন জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এরকম কিছু বলাতে খারাপ কিছু আছে আমি মনে করি না। এটা তো কেউ কারো খারাপের জন্য বলবে না আমি নিশ্চিত। যদি কেউ বলে থাকে দলের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে এরকম যদি আমরা কম্বিনেশন করি, এরকম অনেক কিছুই হয় ম্যাচকে কেন্দ্র করে। আপনি এরকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো, ওরকম কম্বিনেশন বানালে কি হয়। আমার মনে হয় না এরকম আলোচনা কোনো দোষের আছে”
চলতি মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের মাধ্যমেই আবারও পূর্ণকালীন ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। তবে তিনি জানিয়েছেন এমন পরিস্থিতে আর অধিনায়ক থাকতে চান না। তিনি বলেন,“অধিনায়ক না থাকলে এই মুহুর্তে আমার জীবন সহজ হয়ে যায়, এটা আমার ক্যারিয়ারে কি এখন কোনো ভ্যালু আনতেছে? এই মুহুর্তে অধিনায়ক না হলে আমার কাজ অনেক সহজ হয়ে যেত, ১০ ওভার বল করতাম, ব্যাট করতাম, নির্ভার থাকতাম। ধোনি সব জিতেছে ওকে ক্রেডিট দিতেই হবে। ওর থেকে বেশী আমাদের কারও নেই। ও যদি বলে থাকে যে খেলোয়াড় শতভাগ ফিট না হলে সে দেশকে ধোকা দিচ্ছে, এটা শুধু তামিমের ক্ষেত্রে না, উইলিয়ামসনকে দেখুন, ও শুরুর দুই ম্যাচ খেলবে না। এভাবে হলে সহজ হয় কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে জানলে আমার জন্য কঠিন হয়”
আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে বিশ্বকাপ। এর আগে, দেশের ক্রিকেটে এমন অস্থিতিশীল অবস্থা কি কোনো