বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের দেয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ডাচরা। কোনো ব্যাটারই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। এদিন একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন ব্যাটার কলিন একারম্যান, করেন ৬৮ রান। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আশা যাওয়ার মিছিলে। যার ফলে ২২৩ রানেই অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
এর আগে, বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন উইল ইয়াং। এছাড়াও রাচিন রবীন্দ্র ও টম ল্যাথাম পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান স্কট এডওয়ার্ডস। আরিয়ান দত্ত ও রায়ান ক্লেইনের করা প্রথম তিন ওভার থেকে কোনো রান তুলতে পারেননি দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন দুজনে। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভার থেকে ৬৩ রান তোলেন কনওয়ে-ইয়াং জুটি।
কনওয়েকে ফিরিয়ে নেদারল্যান্ডসকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন রিওলফ ভ্যান ডার মারওয়ে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে কিউই ওপেনার ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ৩২ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রবীন্দ্র পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৫১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
ইয়াং ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে, কিন্তু পল ভ্যান মিকেরেনের বলে বাস ডি লিডকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ৮০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৭০ রান। ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন ডেরিল মিচেল। ৪৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ৫ ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে রান করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথাম পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ১৭ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলেছেন মিচেল স্যান্টনার।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন পল ভ্যান মিকেরেন, আরিয়ান দত্ত ও রিওলফ ভ্যান ডার মারওয়ে। একটি উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিড।