১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

বিসিএল: মিরপুরে পেসারদের তান্ডব, চট্টগ্রামে ব্যাটারদের

- Advertisement -

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের কোন উইকেটে শেষ কবে পেসারদের জন্য কিছু দেখা গিয়েছিলো তা গবেষণার বিষয়। মিরপুরের নিচু, মন্থর উইকেট নিয়ে দর্শক-মিডিয়া থেকে শুরু করে সকলেই যখন তিতিবিরক্ত তখন চলতি বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের ইস্ট জোন বনাম সেন্ট্রাল জোনের ম্যাচে দেখা গেলো সবুজ ঘাসে ছাওয়া উইকেট ও পেস-সুইং বাউন্সের উপস্থিতি।

না, রাতারাতি ম্যাজিক করে পিচ পাল্টে ফেলা হয়নি। পুরনো উইকেটেরই ঘাস ছেটে ফেলা হয়নি বলেই এই ‘গ্রিন উইকেটের’ দেখা মিলছে। তবে ঠিকঠাক ব্যাটিংটা করতে পারলে এই উইকেটেও বড় রান করা যায়। যা চলতি ম্যাচে আপাতত করতে ভুলে গেছে বলেই মনে হচ্ছে ইসলামী ব্যাঙ্ক ইস্ট জোনের ব্যাটাররা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, আবু হায়দার রনি, রবিউল হক ও সৌম্য সরকার- সেন্ট্রাল জোনের ‘পেস চতুষ্টয়’ এর আক্রমণে তৃতীয় দিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চের আগেই ইস্ট জোন হারিয়ে বসেছে ৬ উইকেট। স্কোরবোর্ডে জমা করেছে মাত্র ৬৭ রান।

সেন্ট্রাল জোনকে ২২৭ রানে অলআউট করে দিয়ে ১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইস্ট জোনকে কাঁপিয়ে দেন আগের ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া আবু হায়দার রনি। ইমরুল কায়েসকে ৫ ও শাহাদাত হোসেন দিপুকে শুন্য রানে ফেরান এই পেসার। এরপর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও আফিফ হোসেনের উইকেট। রবিউল হক দারুন এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন ইরফান শুক্কুরকে। উইকেটের ট্যালি থেকে বাদ যাননি সৌম্য সরকারও। লাঞ্চের ঠিক আগে নাদিফ চৌধুরীকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান এই অলরাউন্ডার।

মিরপুরে আবু হায়দার রনির পাঁচ উইকেট

বিসিএলের অপর ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট অবশ্য নিজের ব্যাটিংবান্ধব স্বভাব ধরে রেখেছে। বিসিবি নর্থ জোনের ৩৮৫ রানের জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে বিসিবি সাউথ জোন। তৌহিদ হৃদয় (৭৭) ও অমিত হাসান (৮৩) দুজনই এগিয়ে যাচ্ছেন শতকের দিকে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img