৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার

বিসিবির পরিকল্পনাহীনতার শেষ কোথায়?

- Advertisement -

ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেষ্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের মাঠের পরিকল্পনাহীনতার কথা বলেছিলেন বোর্ড পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়। খেলোয়াড়দের পরিকল্পনাহীনতার কথা সবাই বলে, সমালোচনা করে। ম্যানেজমেন্টও যে পরিকল্পনাহীন, সে কথা কে বলবে?

ছবিঃ বিসিবি
ছবিঃ বিসিবি

প্রথম উদাহরণ, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজ। ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানকে তিন নম্বর পজিশন থেকে সরিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে খেলানো। যুক্তি; দুই হাজার তেইশ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল গঠন। টিম ম্যানেজমেন্ট ধন্যবাদ পেলো, ভবিষ্যত ভাবনায় যে বড় গলদ ছিলো তা বের হতেও সময় লাগেনি। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাজে পারফর্ম্যান্স, নিউজিল্যান্ডে তিন ওয়ানডেতেই শান্তর জায়গা সাইড বেঞ্চ। যে ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের নাম্বার থ্রি ভাবা হলো, তার ওপর ভরসা হারাতে সময় লাগলো এক সিরিজ, তিন ম্যাচ।

ছবিঃ ইন্টারনেট
ছবিঃ ইন্টারনেট

উদাহরণ দুই। সেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজেই, সৌম্য সরকারকে খেলানো হলো সাত নম্বরে। সেই আগেরই যুক্তি; বিশ্বকাপ ভাবনা। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার যিনি ফিনিশারের ভূমিকায় থাকবেন; সেই সিরিজে সৌম্য ব্যাট করতে পেরেছিলেন মাত্র এক ম্যাচ। পরের সিরিজেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সৌম্যের দেখা মিলল টপ অর্ডারে, তিন নম্বরে শান্তর জায়গায়। বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিউজিল্যান্ডের বিমানে উঠার পরই যেনো আকাশে হারিয়ে গেল!!

ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডের পর রঙ্গিন পোশাকের পরবর্তী সিরিজের জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৌম্য সরকার, তখনই আচমকা তার ডাক পড়লো টেষ্ট দলে, সাদমান ইসলামের ইনজুরিতে সাইফ হাসান স্কোয়াডে থাকার পরও বাইরে থেকে ডাকা হয় সৌম্যকে, যাকে কিনা বিবেচনা করা হয়েছিল সাদা বলে ফিনিশার হিসেবে!!

ছবিঃ বিসিবি
ছবিঃ বিসিবি

এখানেই তামাশার শেষ নয়, ষোল মাস আগে মাহমুদুলাহ রিয়াদকে টেষ্টে অচল বলে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই রিয়াদকেই টেষ্ট দলে ফেরানো হয়েছে। মিডল অর্ডারে ইয়াসির রাব্বিরা থাকার পরও কেন রিয়াদকে ডাকা হলো, সেই উত্তর টিম ম্যানেজমেন্টই দিতে পারবে।

ছবিঃ বিসিবি
ছবিঃ বিসিবি

পরিকল্পনাহীনতার সবশেষ উদাহরন কোচিং প্যানেলে রঙ্গনা হেরাথ। হেরাথ বেশি টাকা চান, খোদ বিসিবি থেকেই এসেছিল এমন খবর। দুই সপ্তাহ না পেরোতেই খবর এলো বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হচ্ছেন রঙ্গনা হেরাথ।

টিম ম্যানেজমেন্টের এমন পরিকল্পনাহীন ক্রিকেট চিন্তার শেষ কোথায়? উত্তর যারা দেবেন, তারা যৌক্তিক উত্তর দিয়েছেন, এমন উদাহরণও খুবই কম। এসব কর্মকান্ডের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে মাঠের পারফর্ম্যান্সে। মাঠের বাইরের ভাবনা পোক্ত না হলে, ভেতরের বাস্তবায়ন যে ভাল হয়না, এই সত্যি সবাই জানে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img