বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডেতে তিন দফায় বৃষ্টির বাধা। শেষ পর্যন্ত পুনরায় খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ৩০ ওভারের ম্যাচ হয়েছে। প্রথম ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৯ রান। শেষ ১১ ওভারে কিউইরা তুলেছে ১৩৫ রান, হারিয়েছে ৫ উইকেট।
তৃতীয় দফায় বৃষ্টি হওয়ার আগে কিউইরা তুলেছিল ২ উইকেটে ১০৪ রান। তবে বৃষ্টির শেষে মাঠে নেমে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন দুই ব্যাটার টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়াং। দুইজন মিলে গড়েন ১৭১ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৭৭ বলে ৯২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন। ১১ বলে ২০ রান করা মার্ক চ্যাপম্যান ফেরেন রান আউট হয়ে। এর পর ৮৪ বলে ১০৫ রান করা ইয়াং। এবং ২ বলে ১ রান করা টম ব্লান্ডেল ও ১ রান করা জশ ক্লার্কসন ফিরেছেন রান আউট হয়েই, সেটাও ৩০তম ওভারে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন উইল ইয়াং। তবে টাইগার পেসার ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি, চতুর্থ বলেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। সবশেষ বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন শরিফুল। সেই ওভারের শেষ বলে তার দ্বিতীয় শিকার হেনরি নিকোলস। তৃতীয় স্লিপে এনামুল হক বিজয়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
উইকেট থেকে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছেন শরীফুল। আউট সুইং-ইনসুইং দুই ধরনের ডেলিভারি করতে দেখা গেছে টাইগার পেসারকে। শরীফুল একপ্রান্তে কিউই শিবিরে আঘাত হানলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি হাসান মাহমুদ-মুস্তাফিজরা। যদিও তাদের উপর খুব একটা চড়াও হতে পারেনি কিউই ব্যাটাররা।
১৩.৫ ওভার হওয়ার পর আম্পায়াররা বন্ধ করে দিয়েছেন খেলা। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দুই উইকেটে ৬৩ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি থামার পর তুলেছিল ২ উইকেটে ১০৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল এবং ১ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।