অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী-আকবর আলীরা। তবে ঠিকই ঘুরে দাড়িয়েছে বিসিবি হাইপারফর্ম্যান্স (এইচপি) দল। শনিবার মাহফুজুর রহমান রাব্বির দারুণ ক্যামিওতে পার্থ স্করচার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে টাইগার যুবারা।
টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আকবর। এইচপি অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার, যতটা সম্ভব কম রানে স্করচার্সকে আটকে দিয়ে জয় তুলে নেওয়া। রিপন মন্ডল-রাকিবুল হাসানরা অধিনায়ককে হতাশ করেননি। ১২৯ রানের মধ্যেই স্করচার্সকে আটকে রাখেন তারা।
স্করচার্সের হয়ে ৫৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন টিগ উইলি। ইনিংসটিতে ছিল না কোনো ছয়ের মার, তবে চারটি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। এছাড়াও ব্যাক্সটার হল্ট খেলেছেন ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তিনটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কার সাহায্যে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
এইচপির হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন রিপন। রাকিবুল ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৭ রান।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় এইচপি। ৫ বলে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন তরুণ এ ওপেনার। গত ম্যাচেও বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তামিম। দ্রুত ফিরেছেন পারভেজ হোসেন ইমনও। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। আফিফ হোসেন ধ্রুবর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া আরিফুল ইসলামও পারেননি তেমন কিছু করতে।
তবে আকবরকে সাথে নিয়ে ইনিংস গড়ার দিকে মনোযোগ দেন ওপেনার জিসান আলম। তাদের জুটিতে ওঠে ৩৯ রান। জিসান রান আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ২৬ বলে ২৬ রান করেন জিসান। একটু পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন আকবরও। ঝাই রিচার্ডসনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩২ বলে করেন ৩৫ রান।
শেষ চার ওভারে এইচপির প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে আবু হায়দার রনি আউট হলে উইকেটে আসেন রাব্বি। উইকেটে আসার পর থেকেই পার্থ বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাব্বি।