সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ; বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে অফস্পিনে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা আছে শেখ মাহেদি হাসানের। ব্যাট হাতেও কখনো কখনো ব্যাটিং করেন টপঅর্ডারে, আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে পারেন ঝড়ো ইনিংস। ফিল্ডিংয়েও নেই একদম পিছিয়ে। মাহেদি কথা বলেছেন নিজের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং নিয়েও।
টাইগারদের হয়ে নতুন বলে বোলিংয়ের শুরু করতে দেখা যায় মাহেদিকে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়ে যাচ্ছেন ভালোমতো। নতুন বলে বল করাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটা জানিয়েছেন মাহেদি নিজেই।
“টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম পাওয়া যায়, তাই খেলাটা উপভোগ করাটা জরুরী। নতুন বলে খারাপ হলে উপভোগ করাটা কঠিন হয়ে যায়। দলে রিয়াদ ভাই, মোসাদ্দেক ভাই, আফিফের মত বেশ কিছু অফস্পিনার থাকলেও প্রধান অফস্পিনার হিসেবে আমার দায়িত্বটা কিছু বেশি। যেহেতু সময় অনেক কম থাকে, তাই দ্রুত অনেক কিছু করতে হয়”- বলছিলেন মাহেদি
বাংলাদেশের স্পিনিং কন্ডিশনে বরাবরই ভাল করলেও, দেশের বাইরে একমাত্র সাকিব ছাড়া ধারাবাহিকভাবে ভাল করতে দেখা যায় না কাউকেই। কিন্তু মাহেদি শোনালেন আশার কথা।
“ডিফারেন্ট কন্ডিশনে মাইন্ড সেটআপটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়াও থাকে ডিফারেন্ট। ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা চড়াও হইতে চায় অফস্পিনার দেখলেই। তাই, সবার আগে কন্ডিশনের সাথে মানায় নেয়াটা জরুরী্। কোচের সাথে কাজ করতেছি, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকেও পরামর্শ নিচ্ছি। ভাল উইকেটে ভাল করার চেষ্টা করতেছি। উন্নতির তো কোনো শেষ নেই”
দলের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি ঝড়েছে মাহেদির কণ্ঠে। বলেছেন, “খেলায় শুরুটা ভাল হওয়াটা জরুরী্। শুরুর ওভারগুলো দেখলেই বোঝা যায় কি হতে চলেছে। দলের বোলাররা দারুণ ফর্মে আছে, বিশেষ করে সাকিব ভাই, মুস্তাফিজ, শরিফুল ভাল করতেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বক্রিকেটকে একটা দারুণ মেসেজ দেয়া যাবে”
ব্যাট হাতে কোনো পজিশন পাকাপোক্ত নয় জাতীয় দলে; একেক সময়ে দেখা যায় একেক ভুমিকায়্। তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই মাহেদির। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই তিনি খুশি।
“আমি যেই পজিশনে ব্যাট করি, ওখানে ৫০ বা ১০০ রানের ইনিংস খেলাটা কঠিন। দেখা যায় দ্রুত ৫, ১০ রান করলে সেটাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে। তবে, কখনো কখনো সুযোগ হয় উপড়ে ব্যাট করার, তখন দলের হয়ে বড় স্কোর করতে চাই”-বলছিলেন মাহেদি
দলের ফিল্ডিং নিয়েও কথা বলেছেন মাহেদি। দলে বেশ কিছু দুর্দান্ত ফিল্ডার আছে, যারা দলের হয়ে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে। মাহেদি বিশেষভাবে আফিফ, শামীম, শান্তর নাম উল্লেখ করেছেন, যাদের ফিল্ডিং দেখলেই শান্তি লাগে। নিজেও তাদের মত দলের হয়ে ফিল্ডিংয়েও অবদান রাখতে চান জানিয়েছেন মাহেদি।