দ্বিতীয় ওভারে ইমরুলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় টস জেতা জেমকন খুলনা। উইকেট টেকার ইবাদতের পর মঞ্চের আলো পরে তরুণ মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর দিকে। কেনইবা পরবে না, সাকিবের উইকেট পাওয়াতো মুখের কথা না। দুই চারে ৯ বলে ১২ করা সাকিব আউট হয়েছেন মুকিদুলের বাউন্সারে। হুক খেলার চেষ্টায় বল আকাশে উঠিয়ে অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজার তালুতে আটকা সাকিব আল হাসান। মুগ্ধর ভেতরেও হয়তো মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সাকিবের উইকেট!
সাকিবের পর একে একে ফিরেছেন এনামুল বিজয় (২৬) জহুরুল ইসলাম অমি (১) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭); টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান যখন ড্রেসিংরুমে, তখন খুলনার বোর্ডে ৫১; খেলা হয়েছে নয় ওভার দুই বল।
চাপ কাটিয়ে উইকেটে টিকে থাকা, ওভারের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলা, দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়া; নির্দিষ্ট তিনটি চাপ নিয়ে মিরপুরের বাইশ গজে তখন খুলনার প্রথম ম্যাচের নায়ক আরিফুল হক আর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা দলের শামীম পাটোয়ারি।
আক্রমণই সবচেয়ে বড় রক্ষণ, এই নীতিতে চললেন আরিফুল আর শামীম। ৩৯ বলে ৪৯ রানের পার্টনারশিপে খুলনার পায়ের নিচের নরম মাটি শক্ত করেছে ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ২৫ বলে ৩৫ (৩ চার, ২ ছক্কা) করা শামীম যখন ইবাদতের বলে সোহানকে ক্যাচ দিলেন, খুলনার রান তখন ঠিক ১০০।
পরের পথটুকু দলকে প্রায় একাই টেনেছেন আরিফুল। তিন ছক্কা আর দুই চারে ৩১ বলে নটআউট ৪১, আরিফুলকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম; ১২ বলে ১৭ করে নট আউট ছিলেন শহিদুল।
ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের পূঁজি পায় জেমকন খুলনা।
মাঝারি টার্গেটে মিনিস্টার রাজশাহীর ওপেনার এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন “অ্যাঙ্করের” ভূমিকায়। ৩৪ বলে ৫৫ (৬ চার, ৩ ছক্কা) করেছেন শান্ত। সাথে রনি তালুকদারের ২০ বলে ২৬, ফজলে মাহমুদ রাব্বির ১৬ বলে ২৪ (২ চার, ২ ছক্কা) এবং মোহাম্মদ আশরাফুলের দায়িত্বশীল নটআউট ২৫ রান; ১৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় মিনিস্টার খুলনা।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে টানা দুই ম্যাচেই জয় পেলে মিনিস্টার খুলনা।