১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার

ভারতকে সুবিধা দিতে বদলে গেল সেমিফাইনালের পিচ!

- Advertisement -

বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই ভারতের বিপক্ষে একের পর এক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বল পাল্টানোর মতো অভিযোগও শোনা গেছে। এবার শোনা গেল অন্য খবর, টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালের পিচ নাকি পাল্টিয়েছে ভারত। এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম মেইল অনলাইন।

সেই গণমাধ্যমটির দাবি, আইসিসির অনুমতি না নিয়েই উইকেট পরিবর্তন করেছে বিসিসিআই। ব্রিটেনের খ্যাতিমান ক্রীড়া সংবাদকর্মী, লেখক ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথ এই প্রতিবেদনটি করেছেন।

ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৭ নম্বর উইকেট পূর্বনির্ধারিত ছিল। লিগ পর্বে এ মাঠে অনুষ্ঠিত চার ম্যাচের একটিও ৭ নম্বর উইকেটে খেলা হয়নি। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করছে, ৭ নম্বর পিচ বাদ দিয়ে এখন নাকি ৬ নম্বর উইকেটে খেলবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। এই ৬ নম্বর উইকেটে গ্রুপ পর্বে আরও দুটি ম্যাচ হয়েছে। এই উইকেটে ইংল্যান্ড-সাউথ আফ্রিকা এবং ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি হয়েছে।

আইসিসির এই ইভেন্টে উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে সংস্থাটির কনসালট্যান্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের তত্ত্বাবধানে। কোন ম্যাচ কোন উইকেটে খেলা হবে, এ বিষয়ে আয়োজক দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আগেভাগেই সবকিছু চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন অ্যাটকিনসন। মেইল অনলাইনের দাবি, টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে তাকে আর পাত্তাই দেয়নি বিসিসিআই। বেশ কয়েকটি ম্যাচের উইকেট পাল্টানো হয়েছে অ্যাটকিনসনকে না জানিয়েই।

ভারতের বিপক্ষে পিচ পাল্টানোর অভিযোগ উঠেছে

সংবাদমাধ্যমটি আরও দাবি করেছে, ভারত ফাইনালে উঠলে তারা একই কাজ করবে। অর্থাৎ রোহিত শর্মার দল ফাইনালে উঠলে উইকেট পাল্টানো হবে। অ্যাটকিনসন বিসিসিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এসব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কার? বিসিসিআই বলেছে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জিসিএ)। কিন্তু গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, তারা বিসিসিআইয়ের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে এবং অনুরোধগুলো এসেছে সরাসরি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।

যা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আইসিসিকে মেইলও করেছেন অ্যাটকিনসন। যার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে মেইল অনলাইন, “এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে”

অ্যাটকিনসন আরও যোগ করেন, “কিংবা ব্যাপারটা কি এমন হবে যে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের কারও প্রতি সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন থেকে কোনো প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে (উইকেট) বাছাই ও প্রস্তুত করা হবে, কারণ উপলক্ষর (ম্যাচ) জন্য এটাই আদর্শ পিচ?”

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img