টেস্ট ক্রিকেট আর বাংলাদেশ, দুটোই যেন দুই মেরুতে। কেনো, কীভাবে তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে জার্সির পেছেনে যোগ করা হয়েছিল নাম, নাম্বার। অনেক নতুনের ছোঁয়া পেয়েছে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে, তবে বাংলাদেশের পারফর্মেন্সে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশে আসার পর আশা ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শূন্য খাতায় যুক্ত হবে পয়েন্ট। আশার পারদ ফিঁকে হয়েছে প্রথম টেস্টেই। কায়েল মায়ার্সের দ্বিশতক যেন দুঃখীর রাজ্য দুঃখ ফেরি করে বেড়ানোর মতোই। দ্বিতীয় টেস্টে ওই পুরনো আশাই ছিল সমর্থকদের। সেটাও থাকল ওই আশা পর্যন্তই !
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও হারল বাংলাদেশ। দুঃস্বপ্নের নাম রাকিম কর্নওয়াল। অথচ ম্যাচ বা সিরিজ শুরুর আগেই তাকে নিয়ে কথা, আলোচনা, শরীর নিয়ে কটাক্ষ। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে কর্নওয়াল পেয়েছেন ৯ উইকেট।
দিনের শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশের। তাইজুল-রাহীতে দেড়শোর আগেই শেষ উইন্ডিজ। আড়াইশর কম টার্গেট। তামিম ইকবাল খেলেছেন কাউন্টার এট্যাকিং ক্রিকেট। তবে অন্যরা? নিজেদের চিরাচায়িত পরিকল্পনা থেকে বেরুতে পারেননি। ভয়ে ভয়ে বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন উইকেট।
লিটন-মিঠুন-সৌম্য কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষদিকে মিরাজ চেষ্টা করেছেন। পারেননি। বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস): ৪০৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দ্বিতীয় ইনিংস): ১১৭
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ২৯৬
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস): ২১৩