নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করা টাইগাররা ১৬২ রানের টার্গেটে করতে পেরেছে ১৩৪ রান। সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক টম লাথাম, প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক।
After their batters put up the highest total of the series, New Zealand bowlers finish the job in the fifth T20I
Bangladesh take the series 3-2#BANvNZ
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) September 10, 2021
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বড় রান সংগ্রহের পরই ম্যাচের ভাগ্য লিখা হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই, তবুও বাংলাদেশের পাঁড় সমর্থকের মনে একটু খানি আশা হয়তো ছিল ম্যাচ জেতার। সেই আশায় গুঁড়েবালি পড়তেও খুব বেশি সময় লাগেনি। দশ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৮ রান সংগ্রহ করা বাংলাদেশের কোমর ভেঙ্গে গেছিলো তখনই।
এর আগে পাওয়ারপ্লে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেননি টাইগার ওপেনাররা। এদিন আরেকবার ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাশ, আজাজ প্যাটেলের বলে আউট হওয়ার আগে করতে পেরেছেন ১০ রান। এই সিরিজে দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে সৌম্য সরকার তার খারাপ ফর্মকে আরও দীর্ঘায়িত করেছেন, ৯ বল খেলে আউট হয়েছেন চার রান করে। লিটন, সৌম্য ফেরার পর দ্রুত ফিরেছেন মুশফিকুর রহীম এবং নাইম শেখও। ৮ বলে ৩ রান করে মুশফিক শেষ করেছেন দুঃস্বপ্নের সিরিজ।
চার উইকেট হারানোর পর পাঁচে নামা আফিফ এবং ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ জুটি করায় মন দেন, প্রয়োজনীয় গতিতে রান তোলাতেও মন দেন দুজন। এগারো থেকে ১৪ চার ওভারে এই দুজন তোলেন ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত আফিফ-মাহমুদউল্লাহর জুটি ভাঙ্গে ৪৩ বলে ৬৩ রান করে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা জুটিকে ভাঙ্গেন পেসার স্কট কুগালিন। মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ২১ বলে ২৩ করে। মাহমুদউল্লাহর পর দ্রুত আউট হন নুরুল হাসান সোহানও।
শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল প্রায় অসম্ভব ৪৮ রান। বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ১৮ রান। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪৯ রান করে। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে এই ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার হন আজাজ প্যাটেল। স্কট কুগালিন নিয়েছেন ২৩ রানে ২ উইকেট।
শুক্রবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসকে ভাগ করা যায় তিন ভাগে, প্রথম ছয় ওভার প্রভাব বিস্তার করেছে কিউই ব্যাটসম্যানরা, মাঝের ওভারে বাংলাদেশের ফেরা এবং শেষে আবার নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের প্রভাব। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে ফিন অ্যালেনের তান্ডবে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫৮ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দুই ওপেনারকেই ফেরান শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের সাত থেকে চোদ্দ ওভার বাংলাদেশ বোলাররা চেপে ধরের কিউই ব্যাটসম্যানদের, এই সময়ে ৮ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলতে পারে ৩৫ রান।
ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারের মতো শেষ ছয় ওভারেও চলে কিউই তান্ডব, শেষ ছয় ওভারে ওরা তোলে ৬৮ রান। সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি করেন টম লাথাম, তিনি শেষ পর্যন্ত নট আউট ছিলেন ৩৭ বলে ৫০ রান করে। নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেটের দুইটি নেন শরিফুল, অবশ্য রান দিয়েছেন ৪৭; ১৮ রানে এক উইকেট নিয়েছেন আফিফ হোসেন।