২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

ভিনিসিয়ুসের জোড়া গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ চারের পথে রিয়াল মাদ্রিদ

- Advertisement -

এ যেন তিন বছর আগের ফাইনাল মাচের স্কোর লাইন, সেবার গ্যারেথ বেল জোড়া করেছিলেন এবার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ওই ম্যাচে জোড়া ভুল করেছিলেন লিভারপুল গোল রক্ষক আর এই ম্যাচে রক্ষণের ভুল, কিছুটা দায় আছে গোলরক্ষকেরও। সব মিলে ২০১৮’র ফাইনালের অনেকটা পুনরাবৃত্তি। লিভারপুলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

তিন বছর পর ওই হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ছিল অলরেডদের। তাতো হয়নি উল্টো একই ব্যবধানে হারের নতুন গল্প লিখলো ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। সেই সঙ্গে রেকর্ডও করেছেন ব্রাজিলিয়ান এই তরুণ। এই জয়ে সেমিফাইনালে এক ধাপ এগিয়ে গেল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

আলেফ্রেদো দি স্তেফানোতে লিভারপুলের সুযোগ ছিল রিয়ালের রক্ষণকে ফাটল ধরানো। যেহেতু ছিলেননা রিয়ালের রক্ষণের সেনাপতি সার্জিও রামোস। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ ছিল অলরেডরা।

উলটো বেনজামা-ভিনিসিয়ুসদেরকে সামলাতাই হিমশিম খেতে হয় লিভারপুল রক্ষণকে। যদিও প্রথম ১৫ মিনিটে দুটি আক্রমণকে গোল বানাতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস-বেনজামা। অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগেনি। ২৭ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল উড়িয়ে মারেন টনি ক্রুস। দৌড়ে এসে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল বুক দিয়ে রিসিভ করেন ভিনিসিয়ুস এবং নিচু করে শট নেন, কিছুটা বোকা বনেন লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে গোল করায় নাম উঠান ভিনিসিয়ুস। ২০ বছর ২৬৮ দিন বয়সে। তালিকার শীর্ষে আছেন রাউল গনসালেস; ২৫ বছর আগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ১৮ বছর ২৫৩ দিন বয়সে গোল করেছিলেন তিনি।

৯ মিনিটের ব্যবধানের রিয়ালের গোলটি আরো নান্দনিক। এবার স্কোরার মার্কো আসেনসিও। রক্ষণভাগের সবাই একটু এগিয়ে যায়, সাথে গোলরক্ষকও। আগের গোলের মতো টেকনিক নেন টনি ক্রুস, উঁচ করে মারেন। উড়ে আসা বলকে প্রথম টোকায় আলিসনের মাথার উপর দিয়ে নিয়ে দ্বিতীয়বারের বল জালে পাঠান আসেনসিও। বিরতির আগে স্কোরলাইন ২-০।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলে লিভারপুল। পরিকল্পনা কাজেও লাগে। ৫১ মিনিটে ব্যবধান কমান মোহাম্মদ সালাহ। দিয়াগো জোটার শট মদ্রিচের পা ঘুরে সালাহ’র সামনে পড়ে। প্রথম চান্সেই জালে পাঠিয়ে দেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। যদিও গোলরক্ষক কোর্তোয়া চেষ্টা করেও গোল রুখতে পারেননি।

সালাহ’র গোলে লিভারপুল লড়াইয়ের ফেরার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু ৬৫ মিনিটে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। আবারো ভিনিসিউস ম্যাজিক। লিভারপুল রক্ষণের চরম ভুল ছিল, মদ্রিচ পাস দেন ডি বক্সের ভিতর থেকেই। বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের মাঝে বল রিসিভ করেই প্লেসিং শট নেন ভিনিসিউস। জোড়া গোল পূর্ণ হয় ব্রাজিলিয়ানের।

৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে অনেকটাই পিছিয়ে পরলো লিভারপুল। ঘরের মাঠে তাদেরকে আরো কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ১৪ এপ্রিল। অ্যাওয়ে ম্যাচের এক গোলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন তাদের লাইফ লাইন হয়ে থাকলো।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img