যেকোন বিচারে আজকের সেরা পেসার তিনিই। প্রথম সেশনের হিসেবে বললে বলতে হয় রীতিমতো ‘বিষাক্ত’। তারপরও দিনশেষে শরিফুল ইসলাম নাকি ফেলছেন আফসোসের দীর্ঘশ্বাস।
“ভালো লাগছে তবে মনের মধ্যে কিন্তু শব্দটা থেকেই যায়। যদি আরো দুই একটি উইকেট ফেলে দেওয়া যেত তাহলে ভালো হত।”
অনেকদিন পর বাংলাদেশের পেসাররা আক্ষরিক অর্থেই একটি ভালো দিন কাটিয়েছেন। এদের মাঝে অগ্রগণ্য ছিলেন শরিফুল। টম ল্যাথাম ও রস টেলরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি নেওয়া ছাড়াও পুরো স্পেলজুড়ে তার বোলিংয়ে ছিলো পরিকল্পনা ও আগ্রাসনের সমসত্ব মিশ্রণ। তিনি আর তাসকিন মিলে সকালের সুবিধাটি একেবারে শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন। প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছেন!
তবে শরিফুলের আফসোসটাও ওখানেই। ওই স্পেলেই বা সবমিলিয়ে যদি আরো দুটো উইকেট ফেলে দেওয়া যেত তাহলে হয়তো দিনটা পুরোপুরি বাংলাদেশেরই হত! সুযোগ পেয়েছিলেন তিনিই। যে কনওয়ে সেঞ্চুরি করে গলার কাঁটা হয়ে আটকে ছিলেন তাকে শূন্য রানে এলবিডাব্লিউই করে ফেলতে পারতেন। যদি শুধু আম্পায়ার আঙ্গুলটা তুলতেন!
“সকালের উইকেটে বোলিং করে খুব ভালো লেগেছে। সুইং ছিলো, মুভমেন্ট ছিলো। লাঞ্চের পর উইকেট একটু ফ্ল্যাট হয়ে যায়, তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরও লাইন লেংথ খাটো করতে হয় যাতে ওরা আমাদের ড্রাইভ না খেলতে পারে।”
প্রথমদিন শেষের ‘কিন্তু’গুলি দ্বিতীয় দিনশেষে, এমনকি প্রথম সেশনেই নিশ্চয়তায় পরিণত করতেই চাইবেন শরিফুল। সেই সক্ষমতা যে তিনি রাখেন সেটি তিনি দেখিয়েছেন।