আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা; অজিদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়। চতুর্থ ম্যাচে হারটা এড়ানো গেলে ফলাফলটা হতে পারতো অন্যরকমও। হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি অজিদের, কিন্তু অজিদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের আনন্দে ভেসেছে এলাকার ছোট বাচ্চাটা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলেই। প্রধানমন্ত্রীর নাম শুনে চোখ কপালে উঠলে জেনে রাখা ভালো, ব্যস্ততা যতোই হোক না কেনো, জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই চোখ রাখেন দেশের ক্রিকেটে।
অজিদের বিপক্ষে সিরিজের ঘটনা। প্রথম ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টাইগাররা। সাধারণত ম্যাচশেষে প্রধানমন্ত্রীকে কল করে খেলার খবর পৌঁছে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেদিন ভাবলেন খেলোয়াড়দের হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েই করবেন কল। কিন্তু, পাপনকে অবাক করে দিয়ে ম্যাচ শেষ হতেই কল করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “জিতে গেলাম অস্ট্রেলিয়ার সাথে!”
বাংলাদেশ হারলে মন খারাপ হয় বিসিবি সভাপতির। বাংলাদেশের হার তিনি মেনে নিতে পারেন না কিছুতেই। বরাবরের মতোই চতুর্থ ম্যাচে টাইগারদের হারে মন খারাপ নাজমুল হাসান পাপনের। এমন সময়ে আবার প্রধানমন্ত্রীর ফোন! বিসিবি সভাপতির মন খারাপ দূর করতে বললেন, মাঝে মাঝে জিততে দিতে হয়। নাহলে যে আসতেই চাইবে না আর!
“মাঝে মাঝে দুই একটা হারতে হয়। নাহলে তো আসতে চাইবে না”- পাপনকে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কাঁধে চোট পান এনামুল হক বিজয়। এরপর ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকেই। বিজয়ের চোটও ভাবিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ইনজুরিতে পড়ার সাথে সাথেই বিসিবি সভাপতিকে ফোন করেছেন শেখ হাসিনা, বলেছেন বিজয়ের সাথে যেন নাজমুল হাসান পাপন নিজেই যান অ্যাম্বুলেন্সে করে।
“বিশ্বকাপ খেলতে গেছি। তখন ভোরবেলা। বিজয় ব্যথা পেল। শত ব্যস্ততার মধ্যেও উনি ফোন করে বললেন,’কি হয়েছে ওর?’ আমি বললাম, ‘আপনি এখনো জাগা?’ উনি বললেন, ‘খেলা দেখছি।‘ বিজয়ের ব্যাপারে আমি উনাকে বললাম, ‘ও তো সিরিয়াসলি ইনজুরড, খেলতে পারবে না।‘ তিনি আমাকে বললেন,’তুমি ওর সাথে যাওনি? এখনি যাও।“- বিজয়ের ইনজুরির পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথোপকথন নিয়ে বিসিবি সভাপতি
শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনে শত শত ক্রিকেটপ্রেমীর একটাই হয়তো আশা, ‘এমন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই থাকুক বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে।‘