ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে এই প্রথম ওপেন করলেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু নাকি কঠোর নজর রাখছেন তাঁর খেলায়। গুঞ্জন আছে জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বিশেষ ‘সুপারিশেই’ নাকি বিসিএলে ওপেনিংয়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে তাঁকে।
সেই পরীক্ষায় প্রথম পত্রেই লেটার মার্ক তুলে আনলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে নর্থ জোনের বিপক্ষে ৩২৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন আরেক ওপেনার মিজানুর রহমানকে নিয়ে, দুজনই খেলেছেন দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। জুটি আরেকটু বড় হলে হয়তো বাংলাদেশের ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে প্রথম ৩৫০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ম্যাচশেষে গণমাধ্যমের সামনে মিঠুনের কন্ঠে ঝড়ছিলো আত্মতৃপ্তি।
“রান করলে তো সবসময়ই ভালো লাগে। রেকর্ডের কথা মাথায় ছিলনা। আমার লক্ষ্য ছিলো বড় পার্টনারশিপ করা। মিজানও ভালো ইনিংস খেলছে। দুজনে মিলে চিন্তা করছিলাম যতো লম্বা করা যায় পার্টনারশিপটা”
ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি। তবে পেসার নোমান চৌধুরীর একটি বাজে বলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ১৭৬ রানে থামতে হয়। তবে এই ইনিংস দিয়েই হয়তো জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে ফেরার দাবি জানিয়ে গেলেন মিঠুন। যদিও মিঠুনের ভাষায়, এখানেই নাকি থামার কথা চিন্তা করছেন না তিনি।
“ঐভাবে কখনো চিন্তা করিনা। সবসময়ই আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি। সবসময় চাই যে টিমেই খেলি সেই টিমেই যাতে কন্ট্রিবিউশন করি। এখনো শুধু একটি ইনিংসই হয়েছে, এখনো অনেক বাকি”
মিঠুনের কন্ঠে ঝড়েছে সেন্ট্রাল জোনের দল নিয়ে সন্তুষ্টিও।
“ভালো কিছু করতে হলে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকতে হয়। তাহলে ভালো পারফরম্যান্স করা সহজ হয়ে যায়। আমাদের ওয়ালটনের দলের এনভায়রনমেন্টটা খুব ‘ক্রিকেট ফ্রেন্ডলি’। সবসময় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয়।”