১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার

ইংল্যান্ডকে ৩৬৪ রানে আটকাল বাংলাদেশ

- Advertisement -

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ, ইংল্যান্ডের মতো কঠিন প্রতিপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চাপ কাজ করার কথা। থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে জিততে হলে দারুণ পারফর্ম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই, আগে থেকেই জানতেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জস বাটলারের দলকে অল্প রানের আটকানোর ভাবনায় হয়তো টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানাতে এক মুহুর্তও অপেক্ষা করেননি। কিন্তু, অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দাওয়িড মালানের সেঞ্চুরিতে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড।

অবশ্য ইনিংসের শুরুতে ইনসুইং-আউটসুইং, বাউন্সার-কাটারে বেশ কয়েকবার দুই ইংলিশ ওপেনার মালান-জনি বেয়ারস্টোকে ভুগিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম-মুস্তাফিজুর রহমানরা। সেটা ম্যাচে যারা চোখ রেখেছে তারাই একমাত্র ভালোমতো বুঝতে সক্ষম। উইকেটের সুযোগও তৈরী হয়েছে, ভাগ্য শুধু টাইগারদের পক্ষে আসেনি।

উইকেটে সেট হয়ে নিজেদের সহজাত খেলাটা শুরু করতে বেয়ারস্টো-মালানও দেরী করেননি। দুজনে মিলে গড়েন ১০৭ বলে ১১৫ রানের জুটি। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ইংলিশ ওপেনার করেন ৫৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫২ রান।

বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন সাকিব

বেয়ারস্টো ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মালান। ইংল্যান্ডের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে ডেভিড গাওয়ার ও জনি বেয়ারস্টোর সাথে যৌথভাবে চার সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। এছাড়াও মালান এদিন আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুত ছয় সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখন ইংলিশ ওপেনারের দখলে। ২৩ ইনিংসে ৬ নম্বর সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। এর আগে রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের ব্যাটার ইমাম-উল-হকের দখলে। ২৭ ইনিংসে ৬টি সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তান ওপেনার। দেড়শোর দিকে ছুটতে থাকা মালানকে ফিরিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৭ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১৪০ রান। এদিন ১৩০.৮৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন মালান।

ফিফটির দেখা পেয়েছেন জো রুটও। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করলেন তিনি। সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন রুট। তবে শরীফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে করেন ৬৮ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৮২ রান।

ম্যাচের একটা সময় মনে হচ্ছিল, চারশো ছাড়িয়ে যাবে ইংল্যান্ডের রান। তবে শেষদিকে এসে দারুণ বোলিং করেছেন টাইগার বোলাররা। বিশেষ করে শরীফুল ও মাহেদী দারুণ করেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান। তিনটি শিকার করেছেন শরীফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img