নেপালের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দারুণ জয়, নেট রানরেট মাইনাস ০.৬৬৭ থেকে ০.৩৪৮। তবুও একদমই স্বস্তি মিলছে না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। ৩ ফেব্রুয়ারি সুপার সিক্সের আরেক দল পাকিস্তানকে হারাতে না পারলে সেমিফাইনালে ওঠা হবে না টাইগার যুবাদের। ম্যাচ জয়ের বিকল্প তো নেই-ই, সাথে সেমিতে ওঠার জন্য কষতে হচ্ছে কঠিন সমীকরণের হিসেব।
এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের নেট রানরেট ১.০৬৪। তাই পরের রাউন্ডে উঠতে নির্দিষ্ট এক ব্যবধানে জয় পেতে হবে যেন পাকিস্তানের রানরেট বাংলাদেশের নিচে নেমে আসে। সেক্ষেত্রে সমীকরণ হবে, যদি বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ২৫০ রান বা এর কম রান তোলে তাহলে জয়ের ব্যবধান অবশ্যই কমপক্ষে ৫০ রানের ব্যবধানে যুবা টাইগারদের জিততে হবে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানি যুবাদের অবশ্যই ২০০ রানের মধ্যেই অলআউট করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের চেয়ে বাংলাদেশের রানরেট ০.০০১ বেশি থাকবে।

তবে রান ২৫০-এর বেশি হলে যেকোনো ব্যবধানে বাংলাদেশকে কমপক্ষে ৫১ রানে জিততে হবে। বাংলাদেশ যদি ২৭০ রান করলে পাকিস্তানকে ২১৯ রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে। আবার ৩০০ রান করলে ২৪৯ রানের মধ্যে তাদের আটকে দিতে হবে।
পাকিস্তান যদি আগে ব্যাট করে তাহলে বাংলাদেশকে ৩৮-৪০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ শেষ করতে হবে। ৩০০ রানের লক্ষ্য থাকলে ৩৯.৩ ওভার পর্যন্ত সুযোগ থাকবে সেমির সমীকরণ মেলানোর। অন্যদিকে ২৫০ রানের ক্ষেত্রে ৩৯ ওভার এবং ২০০ রানের ক্ষেত্রে ৩৮.৪ ওভার পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়া করার সুযোগ পাবে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। অর্থাৎ, পরে ব্যাট করলে তুলনামূলক কঠিন সমীকরণের মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশের।
এ গ্রুপ থেকে ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত, বিদায় নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কারা যাবে সেমিফাইনালে।