বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর আজম। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে রংপুরের জয়ের নায়ক আজমতউল্লাহ ওমরজাই। চলমান বিপিএলে নুরুল হাসান সোহানের দলের এটি দ্বিতীয় জয়।
টসে জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। গত তিন ম্যাচে মাত্র এক রান করা ব্রান্ডন কিং এদিন শুরুটা ভালো করেছিলেন। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারি মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। শরীফুল ইসলামকেও ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে মেরেছিলেন ছক্কা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন কিং।
আরেক ওপেনার বাবর আজম খেলেছেন ‘বাবর’ সুলভ। শুরুতে ঢাকার বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন। শরীফুল ইসলাম-আলাউদ্দিন বাবুরা খারাপ বল করলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তিনি। ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান বাবর। ধানুশকা গুনাথিলাকার বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬২ রান।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দারুণ খেলেছেন। বাবরকে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি সুলভ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে পারেননি সোহান। ২৪ বলে ১০৮.২২ স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রাইডার্স অধিনায়ক। আজমতউল্লাহ ওমরজাই শেষের দিকে এসে দারুণ ক্যামিও খেলেছেন। ১৫ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান এসেছে আফগানিস্তানের এ অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন আরাফাত সানি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আলাউদ্দিন বাবু, শরীফুল ইসলাম ও ধানুশকা গুনাথিলাকা।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই গুনাথিলাকার উইকেট হারায় ঢাকা। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ পারেননি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে। চলমান বিপিএলে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা সাইম আয়ুব শুরুটা ভালো করেছিলেন কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন আয়ুব।
তেমন কিছুই করতে পারেননি লাসিথ ক্রসপুলে ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে ফিফটি করে ঢাকার হারের ব্যবধান কমিয়েছেন অ্যালেক্স রস। তার ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৫১ রান।
রংপুরের হয়ে ৩.৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান।