ইংলিশ বোলিং লাইন আপকে পাত্তাই দিলেন না দুই কিউই ব্যাটার রচীন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে। তাদের অতিমানবীয় সেঞ্চুরির কারণে ৯ উইকেট এবং ৮২ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের দেয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে ওপেনার উইল ইয়াংকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে এরপরই শুরু হয় রবীন্দ্র এবং কনওয়ে শো। এই ম্যাচের জন্য রবীন্দ্রকে প্রমোট করা হয় ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে। এসেই ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন রবীন্দ্র, তবে তার থেকে কম যাননি কনওয়েও। দুইজনেই খুব দ্রুত তুলে নেন নিজেদের সেঞ্চুরি। পেস বোলার কিংবা স্পিন বোলার কেউই এদিন এই দুই ব্যাটারের কাছে পাত্তা পায়নি। যার ফলে শেষমেশ ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জশ বাটলারের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছন জো রুট। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। উইকেটে আসার পর থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছন বেয়ারস্টো। ট্রেন্ট বোল্টের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছয় মেরে খুলেন রানের খাতা। সেই ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারেন তিনি। তবে কিউই পেসারদের বলে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি মালান। ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৪ রান।
এরপর উইকেটে এসে দারুণ ব্যাটিং করেন রুট। ৫৭ বলে পান ফিফটির দেখা। এর আগে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেও খেলেছিলেন ৫৯ বলে ৫১ রানের ইনিংস। গ্লেন ফিলিপসের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে ৮৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ৭৭ রান।
ইংল্যান্ড ইনিংসের প্রায় সব ব্যাটারই শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। অধিনায়ক জশ বাটলার ফিরেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ল্যাথামকে ক্যাচ দেওয়ার আগে খেলেন ৪২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস। শেষের দিকে এসে তেমন কিছু করতে পারেননি স্যাম কারান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও রচিন রবীন্দ্র।