রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষে ১১৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সংগ্রহ ৫৬৫ রান। সফরকারীদের হয়ে ৩৪১ বলে ১৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়াও ৯৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি হাতছানি দিয়ে ডাকছিল মুশফিকুর রহিমকে। ডানহাতি এ ব্যাটার সেই মাইলফলকের দিকেই ছুটছিলেন। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি মুশফিকের। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরত্বে থেমেছেন তিনি।
তৃতীয় দিনে মুশফিক যখন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তখন তার নামের পাশে ৫৫ রান, লিটন কুমার দাশের ৫২। চতুর্থ দিনে ইনিংসটাকে লম্বা করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। সতীর্থ নাসিম শাহর বাড়তি বাউন্সে উইকেট দিলেও মুশফিক সেই ভুল করেননি। বরং শাহিন শাহ আফ্রিদি-খুররম শেহজাদদের বাজে বলের অপেক্ষা করেছেন। বাজে বল পেলেই সেটি বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তিনি।
ইনিংসে বেশ কয়েকবার ভাগ্যের ছোয়াও পেয়েছেন মুশফিক। একবার তার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি এ ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১৫০ রানের মাথায়ও তার ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তান। যার খেসারত দিতে হয়েছে তাদের।
লিটন ফেরার পর উইকেটে আসা মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে প্রথম জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন মুশফিক। এরপর যখনই সুযোগ পেয়েছেন স্কোর করেছেন। ২০০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে এগোচ্ছিলেন দুইশোর দিকে। তবে ৩৪১ বলে ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। আর তাতে ভাঙে মিরাজের সাথে তার ১৯৬ রানের জুটি।
মুশফিক ফেরার পর টেলএন্ডারদের সাথে নিয়ে লড়াই করেছেন মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। ৭৭ রানে থামে মিরাজের ইনিংস। ১৪ বলে দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ২২ রান করেছেন শরীফুল।
এর আগে ১৮৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন সাদমান। মুমিনুল হক ৫০ ও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ২৭.৩ ওভারে ৯৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ ও মোহাম্মদ আলী।