বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাশ। দুজনে মিলে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। এরপর শেষের দিকে এসে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতেই ২৫৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ারপ্লেতে লিটন-তামিম তোলেন ৬৩ রান। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোনো দলই পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান।
ইনিংসের শুরুতে দেখেশুনে খেললেও সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন লিটন-তামিম। প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১০ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ৫ ওভারে তুলেছে ৫৩ রান।
এদিন লিটনের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন জুনিয়র তামিম। ইনিংসের ৯তম ওভারে শার্দূল ঠাকুরের এক ওভারে দুই ছক্কার সাথে হাঁকিয়েছেন একটি বাউন্ডারি। ৪১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তামিম। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। কুলদ্বীপ যাদবের উপর চড়াও হতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে লিটনের সাথে গড়েছেন ৮৮ বলে ৯৩ রানের জুটি।

অন্যদিকে আরেক ওপেনার লিটনও শুরুতে দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন টাইগার ওপেনার। জাসপ্রিত বুমরাহ-মোহাম্মদ সিরাজদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন। ৬২ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পথেই ছুটছিলেন তিনি কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দতপন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
নাজমুল হোসেন শান্ত-মেহেদী হাসান মিরাজ-তাওহীদ হৃদয়রা তেমন কিছুই করতে পারেনি। তবে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। জাসপ্রিত বুমরাহর শর্ট লেংথের বলে কাট করেছিলেন মুশফিক। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডান দিকে লাফিয়ে জাদেজা নিয়েছেন দুর্দান্ত ক্যাচ। এরপর একাই লড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব ও শার্দূল ঠাকুর।