ছোট দেশ, তবে বিশাল অর্জন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বারমুডার স্বর্ণ জয়। সেটাও রেকর্ড গড়ে। ট্রায়াথেলনে স্বর্ণ জিতেছেন দেশটির অ্যাথলেট ফ্লোরা ডাফি। টাচলাইনে পৌঁছে ডাফি কান্না আটকাতে পারেননি।মাত্র ৬৩ হাজার মানুষের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। তাদের হয়েই জিতলেন গোল্ড। মাঝেমধ্যে কান্না শুধুই জয়ীদের জন্যই সুন্দর।
মানুষ হয়তো শুধু উদযাপনের গল্পই বলবে, তবে স্বপ্নে সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে ডোফি ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। প্রায় মাইলখানেক সাঁতরে, ২৫ মাইল সাইক্লিং করে আর ৪.৬ মাইল দৌড়ে টাচলাইন ছোঁয়া। নির্দিষ্ট ওই সবার উপরে ইভেন্ট উড়েছে বারমুডার পতাকা। ফ্লোরাতো কাঁদবেনই কান্নাই হয়তো তাকে শোভা পায়।
ফ্লোয়ার বয়স ৩৩, সোমবার স্কেটবোটিয়ে জাপানের যিনি সোনা জিতেছেন তার বয়স ১৩। জীবনের কি অদ্ভুত সুন্দর সমন্নয়। স্বর্ণ জয় ডোফি জানিয়েছেন, হয়তো তিনি তার সামর্থ্যকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
‘আমার মনে হয় পুরো বারমুডা উন্মাদ হয়ে আছে, এটা অন্যরকম অনুভূতি। চাপ ছিল, গত পাঁচ বছরেও অলিম্পিকে আমাকে কেউ ফেভারিটের তালিকায় রাখতো না। অথচ এটাই এখন বাস্তব’
১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে একটি ব্রঞ্জ জিতেছিল বারমুডা। সেটাই এতদিন ছিল তাদের একমাত্র পদক। ইতিহাস মুছেই ফ্লোয়া লিখলেন নতুন গল্প। তার বাবা-মার শেকড় ইংল্যান্ডে। তবে তিনি নিজেকে বারমুডার একজন হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করেন।
‘আমার পরিবার আছে ইংল্যান্ডে। সেটা আমার জন্য কিছুই না। আমার জন্য সবসময় বারমুডাই স্পেশাল।‘