২০২১ ইউরোর কথা মনে আছে? ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে খেলতে মাঠের মধ্যেই হুট করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেনমার্ক তারকা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। সেই ম্যাচ বেশ খানিকক্ষণ বন্ধ থাকে, পরবর্তীতে আবার শুরু হয় এবং ডেনমার্ক সেই ম্যাচ হেরে যায়। জীবনযুদ্ধে এরিকসেনও হারতে বসেছিলেন, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ডেনিশ তারকা জীবন ফিরে পেয়েছিলেন।
এরিকসেন যখন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, প্রিয়তমা স্ত্রীকে বলছিলেন, “হয়তো কোনোদিন আর মাঠে ফিরতে পারব না”! এরিকসেন ফিরেছিলেন, ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলেও ফিরেছেন। ফিরে এসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বড় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলছেন, খেলেছেন বিশ্বকাপেও; কিন্তু ঐ দুর্ঘটনার আগে তাঁর পারফর্ম্যান্স যেমন ছিল, তার কাছাকাছি মানের পারফর্ম্যান্সও এখন করতে পারছেন না ডেনিশ এই মিডফিল্ডার; এবং এটাই স্বাভাবিক!
আড়াই বছর আগের সেই ঘটনার মতোই একটা ঘটনা ঘটেছে রোববার, লা লিগায়। ঘরের মাঠে আতলেতিকো বিলবাওকে আতিথ্য দিচ্ছিল গ্রানাদা, ইনাকি উইলিয়ামসের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল বিলবাও। ম্যাচের যখন ১৮ মিনিট, হুট করেই বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ! কারণ, গ্যালারিতে একজন দর্শক অসুস্থ হন, পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান! কর্তৃপক্ষের থেকে মৃত্যুর কোনো কারণ জানা না গেলেও স্প্যানিশ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, ওই দর্শকের মৃত্যুর কারণ “কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট”
ঐ দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসাসেবার জন্য গ্যালারি থেকে চিৎকার করা হয়, সেই চিৎকার কানে আসতেই স্পেন ন্যাশনাল টিম ও বিলবাওয়ের গোলরক্ষক উনাই সিমোন মাঠে থাকা কর্মকর্তাদের ঐ দর্শকের অসুস্থ হওয়ার খবর জানান। দর্শকরাও সিমোনের সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান, হাততালি দেন।
প্রায় মিনিট বিশেক পর দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে উঠে যান, দর্শকদেরও স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে লা লিগা কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নতুন করে আয়োজন করা হবে। গ্রানাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মারা যাওয়া সমর্থক তাদের ক্লাবের সিজন টিকিটধারী ছিলেন।