১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

লিটনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের মাঝারি সংগ্রহ

- Advertisement -

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও মাঝারি মানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭৬ রান। সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন ওপেনার লিটন দাশ। ৪৫ রান আসে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন লুক জঙ্গে। ২ উইকেট নিতে ৪৭ রান খরচ করেন ব্লেসিং মুজারাবানি । জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ২৭৭ রান ।

হারারেতে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবিয়ান অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। ব্যাক্তিগত কারণে বাংলাদেশ দলে নেই মুশফিকুর রহিম, ইনজুরির কারণে একাদশে ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। দলের সেরা ব্যাটসম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে হতো দুই সিনিয়র তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানকে। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব-তামিমের ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স মোটা দাগে ব্যার্থ।

টেইলরের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণে সময় নেননি জিম্বাবুয়ের স্ট্রাইক বোলার ব্লেসিং মুজারাবানি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভার ক্যাচ বানিয়ে তামিমকে যখন ফেরালেন বাংলাদেশের বোর্ডে তখন রান তামিমের সমান- শূণ্য! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেটা তামিমের ৩৪তম ডাক, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ডাকের মালিক এখন তামিম। ওয়ানডেতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫তম ম্যাচ খেলতে নেমে আরেক লজ্জ্বার রেকর্ডের অংশ হয়ে গেলেন তামিম। ওয়ানডেতে তামিমের চেয়ে বেশি ডাক আর কেউই মারেনি।

অনেকদিন ধরেই সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাঁসছিল না । ব্যাট হাতে ব্যার্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া সাকিব আল হাসানকে আরেকবার খালি চোখে ব্যার্থ বলাই যায়। রানে ফেরার ইঙ্গিতটা ঠিকই দিয়েছিলেন। তবে সেটা ঐ আশা জাগানো পর্যন্তই। অহেতুক বাজে শট খেলে ফেরার আগে তিন চারে ২৫ বল খেলে করেন ১৯ রান। তারও ঘাতক মুজারাবানি, রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে যখন ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের রান তখন ৩২।

সাকিবের বিদায়ের পর ওপেনার লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, ৪ চারে সাকিবের সমান ১৯ রান করে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। তাকে আউট করেছেন তেন্দাই চাতারা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। তারপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে মনযোগী হন লিটন দাশ। তুলে নেন অর্ধশতক। ২৯তম ওভারে ডিপ কভার অঞ্চল দিয়ে রায়ান বার্লকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক।

উইকেটে টিকে থেকে রান তোলায় যখন মনযোগ দিচ্ছেন লিটন, অন্য পাশে মাহমুদউল্লাহ তখন তাকে সঙ্গ দিতে ব্যাস্ত।  দুজনের প্রায় শতরানের জুটি ভাঙ্গে রিয়াদের বিদায়ে। ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন রিয়াদ। লিটন দাশের সঙ্গী তখন আফিফ হোসেন ধ্রুব। চল্লিশতম ওভারে ডিপ স্কয়্যার লেগে ঠেলে দিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন দাশ, নিজের চতুর্থ অর্ধশতককে রুপান্তরিত করেন চতুর্থ শতকে। যার তিনটাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুই ওভার পরে সেই ডিপ স্কয়্যার লেগেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।

ছবিঃ ইন্টারনেট
ছবিঃ ইন্টারনেট

বাকিটা সময় শুধুই আফিফ হোসেন ধ্রুবর। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে আসে ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার সঙ্গী  হিসেবে ছিলেন ২৬ বলে ২৫ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৯তম ওভারে পরপর দুই বলে তাদের ফিরিয়েছেন লুক জঙ্গে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৭৬ রানে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img