ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা একটি করে জেতায় তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। যে দল জিতবে তারা শিরোপা নিজেদের করে নেবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে আগে ব্যাট করে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন জানিথ লিয়ানাগে। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৩৬ রান।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় ওভারেই গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ডানহাতি এ ব্যাটারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। এরপর আভিষ্কা ফার্নান্দোকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তাসকিন। ১৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ১৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে সামারাবিক্রমা ১৪ রান করে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের জুটি। উইকেটে থিতু হওয়া মেন্ডিসকে আক্রমণে এসেই ফেরান রিশাদ হোসেন। উইকেটের পেছেন লঙ্কান অধিনায়কের ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
চারিথ আসালাঙ্কা ভাল শুরু পেয়েছিলেন। আরও একটি ফিফটির দিকে ছুটছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। তাকে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্রেক-থ্রু এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার আগে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৭ রান।
শ্রীলঙ্কা মূলত ২৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লিয়ানাগের কল্যাণে। লঙ্কান ব্যাটাররা যেখানে টাইগার বোলারদের সামনে ভুগেছে সেখানে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন লিয়ানাগে। ৬৫ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি। আষ্টম উইকেট জুটিতে মাহিশ থিকসানার সাথে ৭৮ বলে ৬০ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিয়েছেন। ১০১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিয়ানাগে। শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন সৌম্য সরকার ও রিশাদ হোসেন।