তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আগে ব্যাটিং করে ১৩৪ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন জিমি নিশাম। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২০ ওভারে ১৩৫ রান।
টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে বেশিক্ষণ সময় নেননি শেখ মাহেদী-শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন মাহেদী। তিন বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি কিউই ওপেনার।
এরপর উইকেট উদযাপনে যোগ দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ফিন অ্যালেনকে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে পেয়েছেন নিজের প্রথম উইকেটের দেখা। ৩ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন অ্যালেন। পরের বলে গ্লেন ফিলিপসকে করেছেন এলবিডব্লিউ। প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন শান্ত।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়েছেন মাহেদী। ভয়ংকর হতে থাকা ড্যারিল মিচেলকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। তবে উইকেটে আসার পর থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন মার্ক চ্যাপম্যান। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রিশাদ হোসেন। এক্সট্রা কাভারে চ্যাপম্যানের ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এরপর ৪১ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে সম্মানজনক সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান জিমি নিশা-মিচেল স্যান্টনার। ২২ বলে ২৩ রান করা কিউই অধিনায়ককে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন শরিফুল। ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন নিশাম। ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেছেন ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস।

তবে এদিন দারুণ অধিনায়কত্ব করে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন শান্ত। টাইগার বোলারদের দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল। সমান ওভারে যথাক্রমে মাত্র ১৪ ও ১৫ রান খরচ করে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহেদী ও মুস্তাফিজ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন।