ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিখ্যাত ভারত-পাকিস্তান মহারণে প্রথম ওভারেই শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েন রোহিত শর্মা! কী সেই রেকর্ড? সেবারই প্রথম কোনো ওয়ানডেতে প্রথম ওভারে ছক্কা খেলেন শাহীন। এই রেকর্ডই বলে দেয় প্রথম ওভারে শাহীন ঠিক কতখানি ভয়ংকর। ডানহাতি ব্যাটারদের শরীরের ভেতরে বল ঢুকিয়ে বোল্ড কিংবা এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলাতেই যার তেলেসমাতি!
আচ্ছা, ইনিংসের চতুর্থ আর নিজের প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে আসা শামসুর রহমান শুভকে যখন শরীফুল ইসলাম বোল্ড করলেন; তখন কি আপনার মনের কোণে একবারও শাহীন শাহ আফ্রিদি উঁকি দেয়নি? কিংবা মোহাম্মদ আমির, মিচেল স্টার্ক বা ট্রেন্ট বোল্ট; যারা বছরের পর বছর ধরে ডানহাতিদের এভাবেই আউট করছেন? হয়তো দিয়েছে, হয়তো দেয়নি।
শরীফুলের সাথে যাদের নাম উল্লেখ করা হলো, এরা সবাইই এই প্রজন্মের সেরা বাঁহাতি পেসার এবং এদের সবার ঝুলিতেই আছে ডানহাতিদের শরীরের ভেতরে বল ঢোকানোর অস্ত্র, যে স্কিল আয়ত্ত্ব করার জন্য একেকজন বোলার দিনের পর দিন সাধনা করেন। শরীফুলও সাধনা করেছেন, পরিশ্রমের সুফল এখন ভোগ করছেন।
শুভকে প্রথম ওভারে আউট করে এন্ড পরিবর্তন করেছেন, যে এন্ড থেকে তাসকিন আহমেদ বোলিং করেছেন। এন্ড পরিবর্তন করে বোলিংয়ের ধার কমে যায়নি, বরং আরো বেড়েছে! প্রথম দুই বল ডট দেওয়ার পর আউট করলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্ষুধার্ত বাঘ!
পরের বলে আবারও বোল্ড করলেন দলটার অনেক অপ্রাপ্তির ভেতর একমাত্র প্রাপ্তি যিনি সেই জাকির হাসানকে। মুহুর্তেই সিলেট ১৩ রানে তিন উইকেট হারানো দল, নিজের প্রথম দুই ওভারে শরীফুলের বোলিং স্পেল ২-০-২-৩! প্রথম স্পেলে এরপর আরো এক ওভার করেছেন, উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেছেন; সফলতা মেলেনি, দিয়েছিলেন ৬ রান। তিন ওভারের প্রথম স্পেল শেষ করেছেন ৮ রান খরচে!
যদিও চতুর্থ ওভারে এই বাঁহাতি ছিলেন খরুচে, প্রথম তিন ওভারে ৮ রান দেওয়া শরীফুল শেষ ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান; আরিফুল হকের কাছে দুটো ছক্কা খেয়ে শেষ বলে তাকেই আউট করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁর বোলিং ফিগার, ৪-০-২৪-৪।
এখন পর্যন্ত বিপিএলের এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও শরীফুল, ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। বিপিএল শুরুও করেছিলেন বেশ দারুণভাবে, প্রথম ম্যাচেই হ্যাট্রিক করে।