চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।
চট্টগ্রামের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বোলারদের উপর চওড়া করে খেলতে থাকেন সিলেট ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৬৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা, তৌহিদ হৃদয় আউট হন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। এরপর ব্যাটার শান্তর সঙ্গে সমান তালে রান তুলতে থাকেন সিলেট ব্যাটার মুশফিকুর রহীম। দলীয় ১১০ রানে শান্ত আউট হলে কিছুটা শঙ্কা জাগে সিলেট শিবিরে।
তবে সিলেটের জয়ের সব শঙ্কা দূর করেন রায়ান বার্ল। খেলেন ১৫ বলে ৪১ রানের এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস। দলীয় ১৫৮ রানে ভিয়াসকান্থের বলে বার্ল যখন আউট হন, সিলেটের জয় তখন সময়ের ব্যাপার। শেষের দিকে মুশফিকুর রহীমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের হয়ে ভিয়াসকান্থ নিয়েছেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। শুরুতেই ওপেনার উসমান খানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তবে এরপরই দলকে দারুণভাবে টেনে তুলে ধরেন দুই ব্যাটার মেহেদী মারুফ এবং আফিফ হোসেন। তারা দুজনে মিলে গড়েন ৮৮ রানের দুর্দান্ত জুটি। তবে দলীয় ৮৮ এবং ৯০ রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটার আফিফ এবং মেহেদী আউট হলে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।
তাদের উইকেট যাওয়ার পর আশা যাওয়ার মিছিলেই ছিলেন বাকি ব্যাটাররা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। শেষের দিকে একাই টেনে ধরেন তিনি। খেলেন ২৯ বলে ৫৪ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তার ইনিংসেই ১৭৪ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম।