ক্যালিফোর্নিয়ার লেভিস স্টেডিয়ামে শেষ আটে উঠতে সহজ সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। জিততে পারলে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পানামার মুখোমুখি হতে পারত ব্রাজিল। তবে শুরুতে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে পরের রাউন্ডে উঠল সেলেসাওরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে উরুগুয়েকে।
বল দখলে ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৬ মিনিটেই হামেস রদ্রিগেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড পান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। আগের ম্যাচেও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা হচ্ছে না ভিনিসিয়ুসের। ৭ম মিনিটেও গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল কলম্বিয়া। তবে রদ্রিগেজের দূরপাল্লার ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তবে ম্যাচের ১২তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। অবিশ্বাস্য এক ফ্রি-কিক ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। ম্যাচের ২০ মিনিটে মাঝমাঠে ফ্রি-কিক পায় কলম্বিয়া। হামেস রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে ডেভিনসন সানচেজ গল করলেও লাইনসম্যান অফসাইডের সিদ্ধান্তে তা বাতিল হয়। ২৯তম মিনিটে সানচেজের শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন অ্যালিসন বেকার। এরপর ৩৪তম মিনিটেও সেট পিস থেকে আসা বল ঠেকিয়ে দিয়ে ব্রাজিলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন অ্যালিসন। অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল শোধ করেন কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনোজ। ফলে ১-১ গোলের সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিকে বল পোস্টের বাঁ পাশ ঘেষে বেড়িয়ে গেলে একটুর জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন রাফিনিয়া। এরপর ৬৮তম মিনিট ক্রস থেকে দারুণ হেড করলেও আরও একবার গোলবঞ্চিত থাকেন সানচেজ। নিজ দক্ষতায় লাফিয়ে উঠে বল তালুবন্দী করেন আলিসন। দুই দলে পক্ষে থেকে আরও কিছু আক্রমণ হলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার প্রতিপক্ষ পানামা।