ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ রানের ক্যামিও খেলার পর বল হাতেও নিজের জাত চেনালেন ফাহিম আশরাফ। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তারপরও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জিততে পারেনি খুলনা টাইগার্স। শেষ ওভারের ১৮ রানের সমীকরণ মিলিয়ে তামিম ইকবালের দলকে মনে রাখার মতো এক জয় এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই গত দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় বরিশাল। ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল শুরুটা দারুণ করেছিলেন। তবে টি-টোয়েন্টি সুল ব্যাটিং করতে পারেননি বরিশাল অধিনায়ক। ১৮ বলে ১১১.১১ স্ট্রাইকরেটে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।

সৌম্য সরকার-মুশফিকুর রহিম দুজনেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। গত ম্যাচে দুর্দান্ত ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এদিন ব্যর্থ।
তবে বরিশালকে ম্যাচে রেখেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। ২ বল বাকি থাকতেই বরিশালকে জয় এনে দেন মিরাজ ও শোয়েব। ১৫ বলে ৩১ রানের দারুণ অপরাজিত ক্যামিও খেলেছেন মিরাজ। শোয়েব অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪১ রান করে।
খুলনার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নেওয়াজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করা খুলনা অধিনায়ক এদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আকিফ জাভেদকে স্কুপ করতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে এনেছেন তিনি। তার আগে ১৩ বলে ১২ রান করেছেন বিজয়।
এভিন লুইসের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা পারভেজ হাসান ইমন সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। বরিশালের বোলারদের উপরে চড়াও হয়ে খেলেছেন তিনি। তবে মালিকের নিচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার আগে ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন ইমন।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। মাহমুদুল হাসান জয়-দাসুন শানাকা পারেননি তেমন কিছু করতে।
খুলনা মূলত ১৫৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নেওয়াজ ও ফাহিমের কল্যাণে। দুজনে করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। বরিশালের বোলারদের উপর শেষের দিকে চড়াও হয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি। ২৩ বলে ৩৮ রান এসেছে নেওয়াজের ব্যাট থেকে আর ফাহিম শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ রান।
বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও শোয়েব মালিক। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ইমরান ও আকিফ জাভেদ।