২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

শেষ বেলায় স্পিনাররা আশা দেখালেন!

- Advertisement -

তৃতীয় দিনের শেষ উইকেটটাতেই মিলেছে অনেক প্রশ্নের জবাব। ক্যাম্পবেলের অবাক করা আউটে। উইন্ডিজদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭তম ওভারের চতুর্থ বল, ক্যাম্পবেল কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখেন স্ট্যাম্পের উপর থেকে বেল পড়ে গেছে। বেশ অস্বস্তি নিয়েই ব্যাটিং করছিলেন তাইজুলের ওই ওভারে। সুইংয়ের সঙ্গে বাউন্স সামলাতে হিমশিম খাওয়া ক্যাম্পবেলকে বিদায় করেই দিনের শেষভাগটায় রাঙ্গিয়ে নেয় বাংলাদেশ। রাঙ্গিয়ে নেন তাইজুল।

আর এতেই স্পষ্ট হয়ে উঠে চতুর্থ দিন থেকে স্পিনাররাই হবেন এই ম্যাচে গতিপথ বদলানোর কারিগর। হউক সেটা বাংলাদেশ কিংবা উইন্ডিজ বোলার। অবশ্য তৃতীয় দিন শেষে উইন্ডিজদের লিডটাও মন্দনা। ১৫৪ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ তিন উইকেট ৪১ রান। চতুর্থ ইনিংস ব্যাট করতে হবে বাংলাদেশকে। তাই স্বাগতিক বোলারদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ থাকবে যত দ্রুত অলআউট করা যাবে উইন্ডিজদের, ততই ম্যাচে বাঁচানোর সম্ভাবনা জাগবে বাংলাদেশের।

ম্যাচের শেষ সেশনটা ছিল বেশ নাটকীয়। ৭ উইকেট পড়েছে এই সেশনে। প্রথম চারটি যেখানে বাংলাদেশকে হতাশায় ভাসিয়েছে, পরের তিনটি দেখিয়েছে চতুর্থ দিন সকালকে ঘিরে নতুনের আশা। মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম আর নাঈম হাসান—তিন স্পিনারই একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

দ্বিতীয় দিনে ঠিক যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ ঠিক সেখান থেকেই শুরু। মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন আশা দেখান, সেই আশা তৃতীয় দিনের শুরুতেই নিরাশায় রুপ নেয়। মুশফিক করেন আত্মহত্যা, উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফিরেন মিঠুন।

বাংলাদেশ তাদের ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছিল ১৫৫ রানে। এরপরই মিরাজ-লিটন দৃঢ়তা, দুজন মিলে চা বিরতির আগ পর্যন্ত যোগ করেন ১১৭ রান। তৃতীয় সেশন শুরু না হতেই সব ওলটপালট। ৮ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে মুহূর্তেই সব আশা শেষ।

লিটন ফিরেন ৭১ রানে, আরো একবার হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ব্যর্থ। তাঁর দেখানো পথে ফিরেন মিরাজও, করেন ৫৭ রান। এ দুজনের মাঝে কিছু সময় কাটান নাঈম। শেষটা দেখতে বেশিক্ষণ সময়  লাগেনি। ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে পায় ১১৩ রানের লিড।

ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে মিরাজ-লিটন বাদে, আলো ছড়ান রাকিম কর্নওয়াল, পেয়েছেন পাঁচ উইকেট।

কর্নওয়াল যেখান থেকে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু বাংলাদেশের স্পিনারদের। শুরু থেকেই অস্বস্তির মধ্যে ব্যাট করেছে ক্যারিবিয়নরা। বাংলাদেশের স্পিনাররা হালে পানি পান দিনের শেষ বেলায়। আতংক ছড়ানো বোলিং করেন মিরাজ-নাঈমরা। ব্র্যাথওয়েটকে দিয়ে শুরু করেন নাইম হাসান।

শেন মজলেকে আউট করে বাংলাদেশের মধ্য দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারে নাম উঠান মেহেদি হাসান  মিরাজ। এই ল্যান্ডমার্কে পা রাখতে মিরাজ খেলেন ২৪ ম্যাচ। তার আগে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম উইকেট শিকারে সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন তাইজুল ইসলাম। এই স্পিনারের লেগেছিল ২৫ ম্যাচ। দিনের শেষ উইকটটা নেন তাইজুল, ক্যাম্পবেলকে আউট করে। কিন্তু সেই বোনার টিকে আছেন যেটা অস্বস্তি এবং দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ দলের জন্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

উইন্ডিজ ৪০৯ এবং ৪১/৩

বাংলাদেশ ২৯৬

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img